1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে আলটিমেটাম

  • Update Time : শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১
  • ২১৩ Time View
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমাবেশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত জানাতে সরকারকে রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। শুক্রবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মুশতাক হত্যার বিচার, ছাত্র-শ্রমিক, রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের’ দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সঞ্চালনায় ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, ডক্টরস ফর পিপলস হেলথের সংগঠক ডাক্তার হারুন অর রশীদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, লেখক মুশতাক হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যে সাতজন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হলো, এ সাত সংখ্যা এ দেশের জন্য সৌভাগ্যের। এ দেশের যতগুলো পরিবর্তন এসেছে, সেখানে সাতের প্রভাব ছিল। ১৯৭১ সালের দিকে তাকালে দেখি, সেখানেও সাত আছে। সাত বীরশ্রেষ্ঠের দিকে তাকাই, সেখানেও সাত আছে। ৭ই মার্চের সঙ্গে সাত আছে। এ সাত আসলেই আমাদের সৌভাগ্য এবং গ্রেফতারকৃত সাতজন শিক্ষার্থী আমাদের সৌভাগ্য নিয়ে আসবে। আমরা যে যন্ত্রণা এবং অনাচারের মধ্যে আছি, সে অনাচারের বিরুদ্ধে আমাদের সৌভাগ্য হলো এ সাত।

তিনি বলেন, ‘এ আইন সবার মুখের ভাষা কেড়ে নিতে নয়, কেবল যাদের মুখের ভাষা তির্যক, যারা এ রাষ্ট্রকে পথ দেখাতে চায়, যারা সৃষ্টিশীল মানুষ, তাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে এ আইন তৈরি করা হয়েছে। এ আইনের প্রথম শহিদ হলো সৃষ্টিশীল লেখক মুশতাক।’

মাহা মির্জা বলেন, আমরা কালো এ আইনটি বাতিল চাই। কারণ এ আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এমন কিছু ধারা এবং উপধারা আছে। এটিকে সংস্কার করেও কোনোভাবে রাখা সম্ভব নয়। কারণ এ আইনের আদ্যোপান্ত একটি নিপীড়নমূলক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী আইন। নারী ও শিশুর সুরক্ষার জন্য কিছু কিছু ধারা এখানে রাখা যৌক্তিক বলে অনেক বলছেন। আবার কেউ কেউ এ-ও বলছেন যে, সাইবার স্পেসে যেসব আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়ে থাকে, সেগুলোকে ঠেকানোর জন্য এ আইন জরুরি। তবে আমরা মনে করি, নারী ও শিশুর সুরক্ষার কথা বলে এটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের আগের যে বিদ্যমান আইনগুলো আছে, সেগুলো সংস্কারের মাধ্যমে সাইবার স্পেসের নারী ও শিশুর সুরক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু সেটি না করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ভয়ংকর আইন তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমরা এ আইন মানি না, অতিদ্রুত এটিকে বাতিল করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, কালাকানুনের মাধ্যমে আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলা হয়েছে। গুম, খুন, মানুষের কথা বলার অধিকার, সব অধিকার কেড়ে নিয়ে একটা জগদ্দল পাথর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই জগদ্দল পাথর উপড়ানোর জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আমরা দিচ্ছি। রোববারের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত না জানালে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবিতে সমাবেশ : কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিল থেকে ছাত্র ইউনিয়ন ও ফ্রন্টের গ্রেফতারকৃত ৭ নেতার মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ হয়। এতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে একের পর এক কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, একদিন না একদিন এই বামপন্থিরা ক্ষমতায় আসবে। সেটার জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।’

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের গ্রেফতার হওয়া নেতা তামজীদ হাসান চঞ্চলের বাবা জিয়া হাসান ও জয়িতা চক্রবর্তীর মা মমতা চক্রবর্তী বক্তব্য দেন। সিপিবির সহসাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রমিক অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ : শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃত সবার নিঃশর্ত মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এদিন বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শ্রমিক অধিকার পরিষদ।

সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেন, দেশের প্রধান সংকট দেশে গণতন্ত্র নেই। এই ভোটবিহীন সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে হবে।

মোদির বাংলাদেশে আগমন নিয়ে নূর বলেন, ভারতের কসাইখ্যাত মোদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে এনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তামাশা করবেন না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনের জন্য। মোদির মতো সাম্প্রদায়িক একজনকে এনে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করবেন না।

সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান খানসহ শ্রমিক পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।সূত্র :যুগান্তর

আরও পড়ুন   সরকারের কাছে কৈফিয়ত চান হাসানুল হক ইনু 

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..