শামীম জৈন্তা, সিলেট প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলা বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত মানিকুল ইসলাম (ওসি) ডি,বি এর নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউসুফ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী বলেন, পক্ষান্তরে আমি একজন নিরীহ প্রকূতির ব্যবসায়ী লোক। আমি ও আমার স্ত্রী শিপন বেগমকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল। আমি টাকা পাওনা মামলা নিয়ে ২০১৯ ইং সালে আমার স্ত্রী শিফন বেগমকে নিয়ে ডি.বি হবিগঞ্জ কার্যালয়ে যাই। সেখানে গিয়ে মানিকুল ইসলাম ওসি ডিবি’র এর সাথে পরিচয় হয় এবং মামলা সংক্রান্ত কথাবার্তা বলি। এ সুযোগে আমার স্ত্রীর উপর মনিরুল ইসলামের কু-নজর পড়ে। এবং অভিযোগটি ভাল করে দেখার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে পাঁছ হাজার টাকা নেন এবং আমরা টাকা নিয়া বাড়ি চলে যাই। কিন্তু ওসি ডিবির আমার স্ত্রী উপর কু-নজর পড়ে আমি বুজতে পারিনি। এমনকি ওসি মানিকুল ইসলাম আমার স্ত্রীকে গভীর রাতে ফোন করে ডিস্টার্ব করেন।
বিষয়টি আমার স্ত্রী শিফন বেগম আমাকে জানালে আমি তার ফোনটি রিসিভ করে কথা বলতে চাইলে তিনি আমার ফোন কেটে দেন। এরপর থেকে তিনি আমার প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন। তিনি বলেন, ওসি ডিবি ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে আমার স্ত্রীকে কু প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি ওসি ডিবির সাথে কথা বলতে মানা করি। আমার স্ত্রীর মোবাইলের সিম বন্ধ করে দেই। কিন্তু ওসি ডিবি আমার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দিয়ে আমার অভিযোগের কথা না বলে আমার স্ত্রীর খোঁজ খবর নেন। তার ফোনালাপ আমার কাছে রহস্যময় হলে আমি তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করি। পরে আমার টাকা পাওনার ব্যাপারে কোর্টে মামলা দায়ের করি।
তারপরও ওসি ডিবি মানিকুল ইসলাম আমার স্ত্রীর পিছন ছাড়েননি। কারনে অকারনে আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন স্থানে এবং অফিসে যেতে বলেন ও আমার স্ত্রীকে বিরক্ত করতে শুরু করেন। নিরুপায় হয়ে তার বিরুদ্ধে বানিয়াচং সার্কেলে সেলিম এর নিকট বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি গুুরুত্বসহকারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওসি ডিবি কে বলেন। তখন সে তড়ি গড়ি করে ওসি ডিবি মানিকুল এসআই মোজাম্মেলকে পাঠান কিন্তু কোন কাজ হয়নাই। ওসি ডিবি আমার স্ত্রীকে বলেন তুমি যদি আমার বাসায় আস আমাকে সময় দিতে পার তাহলে তোমাদের কাজ হয়ে যাবে। আমার স্ত্রীকে কাছে না পেয়ে নানা ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উঠেন। ওসি ডিবি ভয়ংকর ফাঁদ তৈরি করেন। কিভাবে আমার স্ত্রীকে আমার কাছ থেকে আলাদা করা যায় এবং ভোগ করতে পারেন। আমার স্ত্রীর সাথে আপোষ মীমাংসা শর্তহিসাবে তার বাসার কাছে আমি বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য পাশা পাশি জোড় পূর্বক অঙ্গীকার নামা লিখে নেন। বিষয়টি কু-মতলব বুজতে পেরে আমি প্রথমে রাজি হয়নি। এক প্রকারে ক্রসফায়ার ভয় দেখালে বাধ্য হয়ে তার কথামতে লিখিাত শর্ততে রাজি হই। বিয়য়টি বিগত ২৪/০৭/ইং তারিখে পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ মহোদয়কে জানালে তাকে সতর্ক করে দেন।
তারপর থেকে ওসি ডিবি মানিকুল ইসলাম আমার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে তুলে নেয় এবং পাঁচ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে। নতুবা ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলবে অথবা অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে। তাৎক্ষনিকভাবে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে প্রাণ বাচাই। উল্লেখ্য আমার জানামতে আমার কোন মামলা মোকদ্দমা নেই। সরজমিনে তদন্ত করলে অনেক কিছু বের হয়ে আসবে। তার স্ত্রী কানাডা প্রবাসী হওয়ায় বিভিন্ন মহিলাদের প্রতি অশক্তি রয়েছে। ওসি ডিবি মানিকুল ইসলাম কর্তৃক আমি নির্যাতিতকে সামাজিক ও আর্থিকভাবে মারা
মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। প্রকৃতপক্ষে ইউসুফ আলী একজন গাড়ি ব্যবসায়ী এছাড়াও তাহার একটি জীম সেন্টার ব্যবসা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ওসি ডিবি কয়েকবার মোটা অংকের টাকা চাদা দাবি করে। নতুনা বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় ফাসিয়ে দিবে বলেও হুমকি দিয়ে আসে। ইউসুফ আলী বলেন এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে বশ করে নিয়ে আমার স্ত্রীকে দিয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করায়। আমার স্ত্রী শিফন বেগমকে জিম্মি করে রক্ষিতা করে অবৈধ মেলামেশা শুরু করে।
এছাড়াও মোবাইল ফোনের কথোপকতনের অডিও রেকর্ড রয়েছে এবং কল লিস্ট চেক করলে এর প্রমান পাওয়া যাবে। এলাকার বহু মানুষ ওসি ডিবি মানিকুল ইসলামের অত্যাচারে অতিষ্ট। কিন্তুু মামলা ও ক্রসফায়ারের ভয়ে কেউ সাহস পাচ্ছেনা তার বিরুদ্ধে কথা বলতে। ওসি ডিবি ( হবিগঞ্জ ) মানিকুল ইসলাম এর বি পি নং ৭৮০৪০৯৯১৩৭ বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র ক্রসফায়ার দেখিয়ে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট মন্ত্রী মহোদয় স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় বরাবরে স্বারক প্রদান করেছি। ২০/৮/২০২০ ইং বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার আই জি পি বরাবরেও স্বারক প্রদান করা হয়