স্পোর্টস ডেস্ক: ২০ দিন আগে পুত্র সন্তানের জনক হয়েছেন ফুটবলার তপু বর্মন। জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার কয়েকদিন ধরে বাসা-হাসপাতালে ছোটাছুটি করেছেন শিশু সন্তান একটু অসুস্থ্ হওয়ায়। এখন সন্তানের অবস্থা ভালো। তার মনে বেশ আনন্দ। এরই মধ্যে এ প্রতিবেদকের কাছে শুনলেন বসুন্ধরা কিংস তার এবং আনিসুর রহমান জিকোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ১২ ডিসেম্বর তারা ক্যাম্পে ফিরতে পারবেন।
‘আমি অফিসিয়ালি এখনো কিছু জানি না। সোমবার ওয়াসিম ভাইকে (দলের ম্যানেজার) ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম কোনো আপডেট আছে কি না। তিনি আমাকে বলেছিলেন, এ নিয়ে রাতে আমাদের মিটিং হবে। এরপর কিছু জানি না। এখন আপনার কাছ থেকে জানতে পেরে ভালো লাগছে।’
জিকোর নিষেধাজ্ঞা ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার ২৬ দিন আগেই সুখবর পেলেন তপু বর্মন। কেমন লাগছে? জবাবে তপু বর্মন বলেন, ‘ভগবানের কাছে শুকরিয়া। এটা আমার জন্য মুক্তির আনন্দ।’
গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর শাস্তির মেয়াদ ছিল আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তিনি তিন মাসের বেশি সময় আগেই পেয়ে গেলেন মুক্তি। জিকোর অপরাধ বেশি ছিল বলে তার শাস্তিও বেশি হয়েছিল।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। ১২ ডিসেম্বর ক্যাম্পে যোগ দিলেও তারা কবে খেলায় ফিরতে পারবেন তা নির্ভর করছে কোচ অস্কার ব্রুজনের সিদ্ধান্তের ওপর।
গত সেপ্টেম্বরে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলে মালদ্বীপ থেকে ফিরলে তপু বর্মন ও আনিসুর রহমান জিকোসহ ৫ ফুটবলারের কাছে ৬৪ বোতল মদ পেয়েছিলেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা। তার পরিপ্রেক্ষিতে বসুন্ধরা কিংস তাৎক্ষণিকভাবে ৫ ফুটবলারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। অন্য তিন ফুটবলার হলেন- শেখ মোরসালিন, রিমন হোসেন ও তৌহিদুল আলম সবুজ।
পরে তদন্ত করে ৫ খেলোয়াড়কে শাস্তি দিয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা। মোরসালিন ও রিমনকে অর্থ জরিমানা করে দলে ফিরিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। সবুজকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পুরো মৌসুম।