নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্রাবাসের সামনের দেয়ালের বড় অংশ ভেঙে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে মহাখালীর বটতলায় অবস্থিত ছাত্রদের থাকার জন্য একমাত্র আবাসিক হোস্টেল আক্কাসুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাসের প্রবেশমুখের একটি দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছাত্রাবাসের যে সড়ক দিয়ে ছাত্ররা যাতায়াত করেন তার ঠিক পাশেই রাজউকের একটি আঞ্চলিক কার্যালয়। তার দেয়াল ঘেঁষেই ছাত্রাবাসের অবস্থান। দেয়ালের বড় একটি জায়গা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে দুপুরে হলের সামনের সড়কে বিক্ষোভ করেছে তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদের অনেকেই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের থাকার একমাত্র জায়গা এই ছাত্রাবাস। এটার উপরও যদি রাজউক অত্যাচার করে, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকবে কই। ছাত্রাবাসে হাত দেওয়া মানে আমাদের উপর হাত দেওয়া।
তাৎক্ষণিকভাবে তিতুমীর কলেজ ফটকে প্রতিবাদ জানান, ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল।
উষ্মা প্রকাশ করে তারা বলেন, রাজউকের এমন আচরণ স্রেফ বিমাতা সুলভ। তারা চাইলেই জানিয়ে কাজটি করতে পারতো৷ আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন বলেন, আমাদের কিছুই জানালো হল না। হুট করেই দেয়াল ভেঙে দিল। এটা কেমন আচরণ। আমরা মৌখিকভাবে তাদের কাছে কারণ জানতে চেয়েছি। সদুত্তর পায়নি।
আর ছাত্রাবাসের সহকারী তত্বাবধায়ক আল নূর জানান, কলেজ প্রশাসনকে কোন কিছু না জানিয়ে রাজউক কাজটি করেছে। এভাবে ভাঙা বিধিসম্মত নয়। একটা কার্টেসি থাকা উচিত ছিল অন্তত। করোনার ছাত্রশূন্য থাকায় এই কাজটি করতে পেরেছে রাজউক।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজউকের চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম বলেন, আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আসলে মহাখালীর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভেতরে একটি নগর প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। কাজের সুবিধার্থে দেয়াল ভাঙা হয়েছে৷ কারণ আমাদের গেইট ছোট হওয়ায় মালামাল নিতে বেগ পেতে হচ্ছিল। এটা কাজ শেষে আবার নির্মাণ করে দেয়া হবে।
দেয়াল ভাঙার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়নি কেন, জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এটার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকের। তবে অবশ্যই অনুমতি নেওয়ার দরকার ছিল।