তৃতীয়বারের মতো বাড়ছে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা। একই সঙ্গে পূর্বঘোষিত ৬ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে আবেদনের সময় কতদিন বাড়ানো হবে তা জানা যায়নি। আবেদনের সময়সীমা ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময় ঠিক করতে শিগগিরই বৈঠকে বসবে সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি)।
পূর্ণ কমিশনের ওই বৈঠকে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে এ বিসিএসে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরিতে আবেদনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। পিএসসি সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ছে। তবে কতদিন বাড়বে তা ঠিক করতে পূর্ণ কমিশনের সভা ডাকা হবে। সেখানে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা ও কতদিন বাড়ালে সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদনকারীকে এ বিসিএসের আওতায় নিয়ে আসা যাবে তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘একটা বিসিএসকে কত সময় টেনে নিয়ে যাব? এক সময় তো আবেদনের নেয়া বন্ধ করতেই হবে।’
পিএসসি পরীক্ষা শাখা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। চলতি মাসের আরও ১৮ দিন বাকি আছে। এর মধ্যে আরও ৭০ থেকে ৮০ হাজার আবেদন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু হবে ২৪ মে। তার আগে ১৭ মে আবাসিক হলগুলো খুলবে। খোলার আগে কোনো পরীক্ষা হবে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ও হল খোলার ঘোষণা দিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তও বাতিল হবে। সেজন্য প্রয়োজনে চলমান বিসিএস পরীক্ষার পেছানো হবে।
এর আগে সেশনজটে আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়াতে পিএসসিকে চিঠি দিয়েছিল। সে আবেদন আমলে নিয়ে আবেদনর সময় ৩১ জানুয়ারি থেকে দুই মাস বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। একই সঙ্গে ৬ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এখন যেহেতু ২৪ মের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না, তাই আবারও এই সময় বাড়ানোর বিষয়টি সামনে এসেছে।
জানা গেছে, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ানো দাবি জানায়। তাদের যুক্তি ছিল, করোনার কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকায় অনার্স পর্যায়ের অনেক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বা নেয়া সম্ভব হয়নি।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীকে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন। তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে দশমিক ৫০ (শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য) নম্বর কাটা যাবে। প্রিলিমিনারির বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।