সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা: অবশেষে মোংলা উপজেলার চিলা এলাকায় হিলটন নাথের বাড়ি থেকে মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মোংলা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার ও মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দিনের উপস্থিতিতে এই মরদেহ উত্তলন শুরু করা হয়। পরবর্তীতে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ বাদ আছর মৃত মাহে আলমের জানাজা শেষে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক দাফন করা হবে।
এর আগে গেল ৮ নভেম্বর হিল্টন নাথ হিসেবে সমাহিত মরদেহ উদ্ধার করে মাহে আলমের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট খোকন থানা পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গেল ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয় চিলা এলাকার হিলটন নাথ। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের দাবির প্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাতনামা মরদেহটি তার কাছে হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ হত্যার বিষয়ে খুলনার দাকোপে এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে বাগেরহাটের মোংলা থানায় দু’টি পৃথক মামলা হয়।
পরে নিখোঁজ হওয়া ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবির প্রেক্ষিতে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত হিলটন হিসেবে সমাহিত মরদেহটির ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গেল ১ আগস্ট প্রকাশিত ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয় অজ্ঞাত মরদেহ হিলটন নাথের নয়। ডিএনএ পরীক্ষায় আরও প্রমাণিত হয় অজ্ঞাত মৃতদেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা। অর্থাৎ মাহে আলম’র। তবে সুন্দরবনে নিখোঁজ হিল্টন নাথের কি হল, সে কি বেঁচে আছে, না মারা গেছে, মারা গেলে তার মরদেহ কি হয়েছে এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে মোংলা জুড়ে।
মাহে আলমের ছেলে সোহেল রানা বলেন, সোমবার বেলা ১১টায় আমার বাবার মরদেহ উত্তোলন করা হবে। পুলিশ আমাদের কাছে বাবার দেহ হস্তান্তর করলে দুপুরে মুসলিম রীতি অনুযায়ী জানাযা শেষে দাফন করা হবে বলে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সামসুদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা মরদেহ উত্তোলনের করছি। মোংলা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে এই মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে। মরদেহ উত্তোলন শেষে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হলে আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হবে।