ওয়েব ডেস্ক: দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম— ২৩৫ জন সরকারি কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রের ভেতর তো চিরুনি অভিযান প্রয়োজন— সরকারি দলের, সরকারের ভেতর, আমলাতন্ত্র, সব জায়গায়। ২৩৫ জন কীভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে এতো টাকা পাঠাল? এখান থেকে তো চিকিৎসা ও শিক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই টাকা পাঠাতে পারবেন না। ২৩৫ বাড়ি কীভাবে কেনা হল? কোন চ্যানেলে টাকা পাঠানো হল? একটা অলপার্টি পার্লামেন্টারি টাস্কফোর্স করা দরকার, যারা এ দুর্নীতিগুলো দেখবে। কোন চ্যানেলে টাকা গিয়েছে সেটা বের করবে এবং টাকা ফেরত নিয়ে আসতে হবে। চাকরি করলে বাড়ি বিক্রি করে টাকা ফেরত নিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ডেঙ্গুর মৃত্যুতে মানুষের আহাজারি মনে হয় কেউ শুনতে পাচ্ছে না। সমন্বিত একটা ব্যবস্থা নেন। মানুষের আর্তনাদটা একটু শুনেন। মানুষের জীবন রক্ষার জন্য এগিয়ে আসুন।
নিজে দুইবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে পীর ফজলু বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৬০০-এর ওপরে। সারা দেশে মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় সরকারের কাজ। স্থানীয় সরকার পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে না। তারা বলছে, চিকিৎসার দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
সম্প্রতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুই ভাইবোনের মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেদিন এক পরিবারের দুইটা শিশু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। দুইটা মাসুম বাচ্চা, ভাইবোন মারা গেল। এই আহাজারি, এই কান্না আমার মনে হচ্ছে— কেউ শুনতে পাচ্ছেন না। এটি ভয়াবহ।’
পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে।’ তিনি এই কাজে কীটতত্ত্ববিদদের যুক্ত করার দাবি জানান।
বিল পাস
এর আগে বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল পাসের জন্য সংসদে তোলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলে বলা হয়, বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশি ও বিদেশি চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোকে এই আইনের অধীনে অ্যাক্রিডিটেশন দেওয়া হবে। অ্যাক্রিডিটেশন সনদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।