ওয়েব ডেস্ক: বিতর অর্থ বিজোড়। বিতর নামাজের রাকাত বিজোড় সংখ্যক বিধায় এটিকে বিতর নামাজ বলা হয়। ইশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত বিতর পড়া যায়। প্রতিদিন এ সময়ের মধ্যে বিতর নামাজ পড়া ওয়াজিব।
বিতর নামাজে অন্যান্য নামাজের মতো দুই রাকাত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়তে হয়। তৃতীয় রাকাত পড়ার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত পড়ার পরপর তাকবির বলে দুহাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হয় এবং দোয়া কুনুত পড়তে হয়। তারপর অন্যান্য নামাজের মতো রুকু, কাওমা, সিজদা করে শেষ বৈঠকে বসতে হয় এবং তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে বিতর নামাজ শেষ করতে হয়।
দোয়া কুনুত একটি বড় দোয়া হওয়ার কারণে অল্পবয়সী বা বৃদ্ধ বয়সী অনেকে দোয়াটি মুখস্ত রাখতে পারে না। এ রকম ক্ষেত্রে দোয়া কুুনুত মুখস্ত করার চেষ্টা করতে হবে। মুখস্ত না হওয়া পর্যন্ত তৃতীয় রাকাতে সুরা-কেরাতের পর তাকবির দিয়ে দোয়া কুনুতের জায়গায় কোরআন হাদিসে বর্ণিত সহজ কোনো দোয়া পড়বে। যেমন-
رَبّنَا آتِنَا فِي الدّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النّارِ.
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনয়া হাসানাহ ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাহ ওয়া কিনা আজাবান-নার।
অর্থ: হে আমাদের রব, আমাদের দুনিয়াতে কল্যণ দান করুন, আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।
অথবা তিনবার বলবে, ‘আল্লাহুম্মা-গফিরলি’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন!’