নতুন করে এক হাজার ১২৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) ভুক্ত করা হয়েছে। দেশের ৯টি অঞ্চল থেকে আসা এক হাজার ৪২০টি আবেদনের মধ্যে বাছাই করে যোগ্যদের এমপিওভুক্ত করা হয়।
সোমবার (১৫ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম মো. ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের তিনজন প্রতিনিধি, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের একজন, অধিদফতরের ৯টি আঞ্চলিক উপ-পরিচালকসহ ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন।
জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, নিয়মিত এমপিও বৈঠকে মোট ১৪২০টি আবেদন ছিল। তার মধ্যে যাচাই-বাছাই করে এক হাজার ১২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভূক্ত করা হয়। যেসব আবেদনের অসঙ্গতি ছিল সেগুলো আরও যাচাই করে পরবর্তীতে এমপিও সভায় তোলা হবে।
জানা গেছে, নাম ও বয়স সংশোধন, টাইম স্কেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তন, জটিলতার আবেদনের মধ্যে চার হাজার ৯৭৫টি আবেদন গ্রহণ করা হয়।
ভার্চুয়াল সভায় মাউশি পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী, উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) আজিজ উদ্দিন যুক্ত ছিলেন।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বিজোড় মাসে একবার এমপিও কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে সোমবার (১৫ মার্চ) এ সভা ডাকা হয়। এ সভায় শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
গত কয়েকমাসে যারা শূন্য পদের বিপরীতে বিধান অনুযায়ী নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেছেন, তাদের এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া মামলার কারণে ঝুলে থাকা এমপিওর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়। এমপিও আবেদন করা শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদন এ সভায় নিষ্পত্তি করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।