নদী পাড়ের রূপ বৈচিত্র্য
সাঈদুর রহমান লিটন
বাড়ির পাশে মেঘনা নদী, নাও মধ্য খানে,
যতিন মাঝি পানশি নায়ে গুনের দড়ি টানে।
উজান নদী যাচ্ছে বেয়ে দূরের ঐ গাঁয়,
পণ্য নিয়ে বাবু মশাই একলা বসে নায়।
শ্যামা নামের শ্যামলা মেয়ে জল তুলছে ঘাটে,
হাটের শেষে ফিরছে লোকে সুর্য যবে পাটে।
নদীর পাড়ে বাতাস এলে কলার পাতা ছিঁড়ে,
কলসি কাঁখে সেই কিশোরী যাচ্ছে চলে নীড়ে।
মেঘ বরণ আকাশ দেখে লাগছে মজা বেশ,
হঠাৎ ভুলে শিমুল মেয়ে উড়ায় দেখো কেশ,
নদীর পাশে হিজল গাছে মাছ রাঙার বাস
জলের মাঝে কয়েক জোড়া চলছে পাতি হাঁস।
কাশফুলের ধবল সাদা বুকের মাঝে ঢেউ,
নদী পাড়ের দেখলে রূপ ফিরবে নাতো কেউ।
কচি ধানের পাতায় যাদু ইচ্ছে মত দেখে,
এমন রূপে পাগল হয়ে গেছেন কবি লেখে।
কত গায়েন গেয়ে গেছেন পল্লী গীতি গান
স্বর্গসুখে নদীর পাড়ে করছে সুধা পান।
রূপালী মাছে ঝিলিক দেয় ধরলে মাঝি জালে,
ইলিশ মাছে সাঁতার কাটে ভাটিয়ালির তালে।