গাজী মো. তাহেরুল আলম: ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি প্রাচ্যের ভেনিস বরিশালে রয়েছে অনেকগুলো দর্শণীয় স্থান। এসব স্থানের মধ্যে দেশ-বিদেশের পর্যটক ও সৌন্দর্যপ্রেমিদের হৃদয়কে আকড়ে রেখেছে বায়তুল আমান জামে মসজিদ। এটি গুঠিয়া মসজিদ নামেই এখন বহুল পরিচিত।
বরিশাল জেলায় অবস্থিত গুঠিয়া মসজিদ এশিয়া মহাদেশের সেরা মসজিগুলোর মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন এ অঞ্চলের দানবীর ব্যক্তিত্ব চাংগুরিয়া গ্রামের প্রবাসী ব্যবসায়ী এস সরফুদ্দিন আহমেদ।
সরেজমিনে জানাযায়,গুঠিয়া মসজিদের সম্মুখভাগে ২০ হাজার অধিক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ঈদগাহ্ ময়দান রয়েছে। কমপ্লেক্সের মূল প্রবেশপথের ডানে বড় পুকুর।সেখানে বিস্তৃত ঘাটলার দু’পাশে সবুজের সমারোহ, ফুলের বাগান আর পাখির গুঞ্জনে দর্শনার্থীদের মন ভরিয়ে দেয়। পুকুরের পশ্চিম দিকে মসজিদ অবস্থিত এবং এর মিনারটির উচ্চতা প্রায় ১৯৩ ফুট।
এস. সরফুদ্দিন আহম্মেদ গুঠিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদ-এর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করেন (১৬ ডিসেম্বর ২০০৩)। মসজিদটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় (২০০৬)। এবং গুঠিয়ার নামেই ৮ গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি পরিচিতি লাভ করে।
স্থাপত্যশৈলী: ১৪ একর জমির উপর স্থাপিত এই মসজিদটিতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের কাঁচ, ফ্রেম, বোস স্পিকার। এছাড়া মসজিদটির সীমানার মধ্যে ঈদগাহ্ ময়দান, দীঘি, এতিমখানা, ডাকবাংলো, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, লেক, পুকুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের বাগান রয়েছে। একটি হ্যালিপেডও রয়েছে।
বরিশাল সদরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল হতে বাস অথবা, মাহিন্দ্র গাড়িতে ১১ কিলোমিটার দুরুত্বে মসজিটি দেখতে প্রতিদিন বহু দর্শনার্থী এখানে আসেন। বিধিনিষেধ না থাকায় উঠতি যুবক ও যুবতিরা মসজিদ প্রাঙ্গণে বেপরোয়াভাবে আড্ডা দেন ও ছবি তোলেন।
প্রসঙ্গত, বলতে হয়, দেশে অনেক বিত্তশালী আছেন, কিন্তু শরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টুর মতো ধর্মপ্রাণ মহানুভব ক’জন আছেন যাঁরা নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে দ্বীনের খাদেম হিসেবে শত কোটি টাকা ব্যয় করে এতো সুন্দর একটি মসজিদ নির্মাণ করতে পারেন