গাজী মো. তাহেরুল আলম: ভোলায় বাসের ধাক্কায় হালিমা খাতুন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী শিখা আক্তার ও রিমা বেগম নিহত হওয়ার ঘটনায় রবিবারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সকালে ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী রাস্তার দুই পাশ অবরোধ করে মানববন্ধন করেন। তাঁদের সঙ্গে শিক্ষকরা ও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। তাঁরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার এবং নিরাপদ সড়কের দাবি করেন। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বেলা ১২.৩০ টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন। এদিকে পুলিশ বাদী হয়ে ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও সহকারীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাসের স্টাফদের আসামী করা হয়। পুলিশ ড্রাইভারকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে। তবে বাস মালিক থেকে যাচ্ছেন বিচারের আওতার বাইরে।
গত শুক্রবার সকালে ওতোরউদ্দি নামক স্থানে বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হন। আহত হন বোরাক ড্রাইভার। ঘটনার পর আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, যাত্রীবাহী বাসটি রাস্তার উল্টোদিক দিয়ে গিয়ে বোরাককে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়।
নিহত সহযাত্রী তানিয়া বলেন, ‘ শিখা ও রিমা আমাদের কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত শুক্রবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাসা থেকে কলেজের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে ঘাতক বাস উল্টোপথে এসে চাপা দেয়’। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ নিহতের পরিবারের ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ সড়ক চাই।
হালিমা খাতুন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুরে আলম নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে একদিনের শোক দিবস পালন করেন। শিক্ষার্থীদের যে যৌক্তিক আন্দোলন তার সাথে তিনি একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিচারের দাবি করেন।