নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নোভাভ্যাক্সের ভ্যাকসিন ৮৯ দশমিক ৩ শতাংশ কার্যকর। যুক্তরাজ্যে পরিচালিত প্রাথমিক ট্রায়ালে এমন আশাব্যঞ্জক ফলাফল এসেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার নোভাভ্যাক্স কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানানোর পরপরই তাদের শেয়ারের দর অন্তত ৩৪ শতাংশ বেড়ে গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে ১৮ থেকে ৮৪ বছর বয়সী ১৫ হাজার মানুষের ওপর পরিচালিত ট্রায়ালে দেখা গেছে, নোভাভ্যাক্সের ভ্যাকসিন প্রায় ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিনগুলোর মতোই কার্যকর।
যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধেও প্রায় একই পরিমাণ সফলতা দেখিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাকসিন। এক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতার হার ৮৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
তবে দক্ষিণ আফ্রিয়ায় পাওয়া ধরনটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা বেশ কম। সেখানে এর সফলতা মাত্র ৬০ শতাংশের মতো। অবশ্য এসব বিষয়ে এখনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নোভাভ্যাক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এগুলো মধ্যবর্তী তথ্য মাত্র। অনুমোদনের পর্যায়ে যেতে তাদের আরও দুই থেকে তিন মাস লাগতে পারে।
অবশ্য ইতোমধ্যে ছয়টি জায়গায় ভ্যাকসিন মজুত শুরু করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নোভাভ্যাক্স জানিয়েছে, সাতটি দেশের অন্তত আটটি কারখানায় তাদের ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও রয়েছে।
বছরে ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নোভাভ্যাক্স।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ওপর চলছে তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের নতুন সংস্করণের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।