বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় জড়িয়ে গেল বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম। এই খুনের মামলায় সোমবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে সিআইডি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয়। তৃণমূলের বক্তব্য, এই ঘটনায় পরিষ্কার সত্যজিৎ–খুনে কে বা কারা প্রকৃত অভিযুক্ত! উল্লেখ্য, গত বছর সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে কৃষ্ণগঞ্জে খুন হয়ে যান তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। পুলিশ তদন্ত করে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করলেও পরে এই খুনের তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিআইডি।
এই খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজনদের তালিকায় নাম ছিল মুকুল রায়েরও। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, এদিন সিআইডি যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয়, তাতে মুকুল রায়ের নাম নেই। ঘটনায় রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে কোনও দলের কোনও নেতাই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ থাকতে পারে। বিজেপিতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মতপার্থক্যে জড়িয়ে পড়েছেন মুকুল রায়। তাই এই ঘটনার মধ্য দিয়ে তাঁকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চার্জশিটে মুকুল রায়ের নাম না থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাবে তারা।
এ দিকে, দলের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম ওই চার্জশিটে থাকায় অস্বস্তিতে বিজেপি। যদিও প্রকাশ্যে তারা এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। উল্লেখ্য, সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করার সময়ই এই খুনে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সকলেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী বলে দাবি শাসক দল তৃণমূলের। অবশ্য ধৃতদের বিজেপি কর্মী বলে স্বীকার করেননি দলের জেলা নেতারা। সেই সময়ই সিআইডির নজরে আসেন জগন্নাথ সরকার। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনিও বেশ কয়েকবার সিআইডি দফতরে যান। তখন তিনি সাংসদ ছিলেন না। কিন্তু তদন্ত চলার সময়ই নিহত সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থীকে লোকসভা নির্বাচনে হারিয়ে সাংসদ হয়ে যান জগন্নাথবাবু। সিআইডির প্রধান কার্যালয় ভবানীভবনে তাঁর যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তদন্তের কাজে সহায়তা করতেই তিনি সেখানে যাচ্ছেন।