ডেস্ক রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় পুলিশের লাথির আঘাতে কৃষক নিখিল তালুকদারের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলায় সোর্সসহ পুলিশের এএসআই (উপ-সহকারী পরিদর্শক) শামীম হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোটালিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় নিহত কৃষক নিখিল তালুকদারের ছোট ভাই মন্টু তালুকদার বাদী হয়ে এএসআই শামীম ও সোর্স রেজাউলকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান জানান, মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার (৮ জুন) তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২ জুন) বিকেলে স্থানীয় রামশীল বাজারের ব্রিজের পূর্ব পাশে নিখিলসহ ৪ জন তাস খেলছিলেন। ওই সময় এএসআই শামীম, একজন ভ্যান চালক ও পুলিশের সোর্স রেজাউলকে নিয়ে সেখানে যায় এবং আড়ালে দাঁড়িয়ে মোবাইলে তাস খেলার দৃশ্য ধারণ করেন।
তাস খেলতে থাকা ওই ৪ ব্যক্তি যখন দেখতে পান তাদের খেলা মোবাইলে ধারণ করা হচ্ছে তখন তারা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সেসময় অন্য ৩ জন পালিয়ে গেলেও নিখিলকে ধরে মারপিট করতে থাকেন এবং হাঁটু দিয়ে মেরুদণ্ডে আঘাত করেন শামীম হাসান। এতে গুরুতর আহত হন নিখিল।
আহতাবস্থায় স্বজনরা তাকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে বুধবার (৩ জুন) রাতে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। আর সেখানেই তার মৃত্যু হয়। যদিও মৃত্যুর ঘটনাটি পাঁচ লাখ টাকায় মীমাংসা করানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল (৭ জুন) উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এই মীমাংসার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান, মেয়রসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আসলাম খানকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিভাগীয় তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।