1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

পোশাক খাত : বিশ্ববাজারের ৭০% পলিস্টারের দখলে, মেলে না সহায়তা

  • Update Time : শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৯৮ Time View

বিশ্ববাজারে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পখাত দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ প্রাকৃতিক আঁশ তথা কটন সূতা এবং অন্য ভাগ কৃত্রিম আঁশ তথা ম্যান মেড ফাইবার (পলিস্টার/নাইলন/ভিসকোস ইত্যাদি) সূতা দিয়ে তৈরি কাপড়ের ওপর নির্ভরশীল।

ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক খাত প্রাকৃতিক আঁশ তথা কটন সূতা নির্ভর। কিন্তু বিশ্ববাজারে বস্ত্র ও পোশাক খাতের একটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে গত ১০ বছরে। সেটা হলো, বস্ত্র ও পোশাকের বাজার এখন ৭০ শতাংশ দখল করে আছে কৃত্রিম সূতা (পলিস্টার) বা ম্যান মেড ফাইবার দিয়ে তৈরি কাপড়। আর ৩০ শতাংশ কটন সূতা দিয়ে তৈরি কাপড়ের দখলে।

বিশ্ববাজারের এই রূপান্তরকে মাথায় রেখে বাংলাদেশকেও এগোতে হবে— এমনটা বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, গত ২৫ থেকে ৩০ বছর আমাদের কটন খাত সরকারের নীতি সহায়তা পেয়ে আসছে। কিন্তু পলিস্টার বা ম্যান মেড ফাইভার খাত উপেক্ষিত।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী তার সমাপনী বাজেট বক্তব্যে সকল প্রকার সূতার ওপর উৎপাদন ও বিক্রয় পর্যায়ে সমান হারে ভ্যাট নির্ধারণের নির্দেশনা দেন। সে নির্দেশনার পরও গেজেট নোটিফিকেশনে শুধুমাত্র কটন সূতার ওপর প্রতি কেজিতে ৪ টাকা ভ্যাট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। আর ম্যান মেড ফাইভার বা পলিস্টার সূতাসহ অন্যান্য সূতার ওপর উৎপাদন ও বিক্রয় পর্যায়ে ৬ টাকা ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়, যেটা সরকারের নীতি ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দশনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলছেন ব্যবসায়ীরা।

তাদের মতে, অনেক চেষ্টা করেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজি করানো যায়নি কটন ও পলিস্টার সুতার ওপর উৎপাদন ও বিক্রয় পর্যায়ে সমান হারে ভ্যাট নির্ধারণ করতে।

তবে কেন সহায়তা পাচ্ছে না, সে বিষয়ে ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, এর জন্য যতটুকু না সরকারের নীতিনির্ধারকরা দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী আমাদের সংগঠনগুলো। বিজিএমইএ বা বিটিএমএ কেউ বিষয়টা নিয়ে তেমন আলোচনা করেনি। গত বাজেটের আগে বিটিএমএর সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টা বাণিজ্যমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। উনারা কথা দেয়ার পরও বাজেটে ম্যান মেড ফাইভার নির্ভর বস্ত্রখাতের জন্য কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে ম্যান মেড ফাইভার বা পলিস্টার সূতা দিয়ে তৈরি কাপড় ও পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। সেই চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের বস্ত্রখাত ও পোশাক শিল্পকে তৈরি করতে হবে দ্রুততার সাথে। এবারের বাজেটে সকল প্রকার ম্যান মেড ফাইভার তথা পলিস্টার সূতার তৈরির উপাদানের ওপর সকল প্রকার আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার, উৎপাদন ও বিক্রয় পর্যায়ে শূন্য হারে ভ্যাট নির্ধারণসহ আরও কিছু সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করলে দেশের বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের নতুন বিপ্লব ঘটবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..