নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে প্রথমবারের মতো পোস্ট কভিড ফলোআপ ক্লিনিক চালু করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাদের দীর্ঘ মেয়াদী ফলোআপের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ফলোআপ ক্লিনিক চালু করেছে।
এ উপলক্ষে আজ শনিবার এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, কভিড-১৯ মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গকে আক্রমণ করে এবং দীর্ঘস্থয়ী ক্ষতি করতে পারে। এ কারণে মাঝারি ও তীব্র কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী ফলোআপের প্রয়োজন। যুক্তরাজ্য, চীন, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই পোস্ট কভিড-১৯ ফলোআপ সেবা চালু হয়েছে। ফলোআপের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষণ ও প্রতিক্রিয়াগুলো চিহ্নিত করতে পারলে বিপুল সংখ্যক রোগীকে দীর্ঘ মেয়াদী রোগের স্থায়ীত্ব এবং মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এক্ষেত্রে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৫ বছর ফলোআপ করার প্রয়োজন হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আপাতত মেডিসিন বহির্বিভাগে এই সেবা চালু হলেও পরবর্তীতে তা আরো বৃহৎ পরিসরে এই সেবা চালু হবে। এক্ষেত্রে ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে তা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভব। এই ক্লিনিকটি পরিচালনায় অেফার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমপেরিয়াল কলেজ, লন্ডন কারিগরী সহায়তা দিয়েছে। ক্লিনিকটি কভিড-১৯ গ্লোবাল ফলোআপ কনসোর্টিয়ামের একটি অংশ। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ইন্টার্নাল মেডিসিন বহির্বিভাগে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ফলোআপ সেবা দেওয়া হবে।
এখান থেকে পালমোনলজি, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, নিউরোলজি, সাইকিয়াট্রি, ফিজিক্যাল মেডিসিনসহ অন্যান্য বিভাগের পরামর্শের প্রয়োজন হবে, তাদের সংশ্লিষ্ট বর্হিবিভাগে রেফার করা হবে। সেবা, পিসিআর ল্যাব সার্ভিস, পৃথক কভিড-১৯ হাসপাতাল অর্থাৎ করোনা সেন্টার চালু ও বহুবিধ গবেষণার মাধ্যমে বিএসএমএমইউ এই দুর্যোকালে চিকিত্সা বিজ্ঞানে বাংলাদেশে অগ্রজ ভূমিকা পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে বিএসএমএমইউ’তে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কভিড-১৯ ফলোআপ ক্লিনিক চালু করা হলো।