সাজু মিয়া শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ আদর্শ উপজেলা হিসাবে পরিচিত হলেও দেড় বছর ধরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে ভেটেনারী সার্জন ডাক্তার নেই। গবাদী পশু পালনকারী কৃষকরা আছেন ভীষণ বিপাকে।

জানা যায় যে, শিবগঞ্জ উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এলাকায় প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এখানকার বেশিরভাগ মানুষের ঘরে ঘরে আছে গবাদী পশু। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস থাকলেও গত দেড় বছর যাবত সেখানে ভেটেনারী সার্জন এর ডাক্তার নাই। লক্ষ লক্ষ গবাদী পশু নিয়ে পশু পালনকারীরা আছে বিপদে। সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই উপজেলার হাজারো মানুষ। এরই সুযোগ নিয়ে এলাকায় এলাকায় গড়ে উঠেছে পল্লী প্রাণি চিকিৎসক। এসকল পল্লী প্রাণি চিকিৎসকদের নেই কোন সার্টিফিকেট বা প্রাণি চিকিৎসার উপর যথাযথ ট্রেইনিং। এদের মটর সাইকেলের পিছনে থাকে বীজ দেওয়ার একটি বক্স ও থাকে একটি কালো ব্যাগ। এসকল ট্রেনিং বিহীন চিকিৎসকেরা গ্রামের সাধারণ কৃষকদের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোট অংকের টাকা। তাই শিবগঞ্জবাসী এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রাণি সম্পদ অফিসে চান ভেটেনারী সার্জন।

গবাদী পশু পালনকারী শাহিনুর ইসলাম, আ: মালেক, আ: গফুর, আ: সামাদের মত হাজারো গবাদী পশু পালনকারী কৃষকেরা বলেন, “আমরা গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ, অনেকে চালায় ভ্যান, রিক্সা, ভটভটি এবং কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বছরে ১/২টি গরু পালন করে থাকি। বাড়ীর বাজারের সাথে গরুরও খাবার কিনে থাকি। বছর পার হলেই গবাদী পশু থেকে মোটা অংকের টাকা উপার্জনের আশায় থাকি। জমি নেয়া হয় বর্গা ও এগ্রিমেন্ট। ওখান থেকে যে আয় হয়, তাহা দিয়ে সংসার চালাই। কিন্তু গবাদী পশু পালন করতে গিয়ে যদি ভালো ডাক্তার না পাই, তাহলে আমাদের বড়ই বিপদ।”

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জাফরিন রহমান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তিনি বলে, আমি অনেক সময় প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকি। এই উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। আমার অফিসে একজন মাত্র কম্পাউন্ডার রয়েছে। এলাকার কৃষকদের গবাদি পশুর চিকিৎসা কিছুটা বিঘন্ন হচ্ছে। তবে একজন ভেটেনারী সার্জন থাকলে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবে।