বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:পশ্চিমবাংলায় আবার খুন বিজেপি কর্মী। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের বাকচার খিদিরপুরে। বিজেপির অভিযোগ, দীপক মণ্ডল নামে তাদের এক কর্মীকে বোমা মেরে খুন করেছে তৃণমূল। তবে বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয় ওই অঞ্চলে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। রবিবার রাত পর্যন্ত কেউই গ্রেফতার হয়নি।
জানা গিয়েছে, শনিবার একটি প্রতিযোগিতায় খেলা দেখতে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে গিয়েছিলেন ওই বিজেপি কর্মী দীপক মণ্ডল। খেলা হয়েছিল ওইদিন বিকেলে সবংয়ের শিশুশিক্ষা পল্লির মাঠে। প্রতিযোগিতা শেষ হলে রাতে তিনি বাড়ি ফেরার পথ ধরেন। পথেই ঘটে ওই খুনের ঘটনা। দুষ্কৃতীরা মোটর বাইকে এসে দীপকের পথ আটকায়। প্রথমে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তার পর তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে বোমা মারে। বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর দেহ। রাতে তিনি ফিরে না এলেও তাঁর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকার খবর আসে পরিবারের কাছে। পরিবারের সদস্যরা ছুটে গিয়ে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে আনার আগেই বোমার আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিবার খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। ঘটনার খবর শুনে সেখানে যায় সবং এবং ময়না থানার পুলিশ। তারাই নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়।
বিজেপি গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছে। তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ ইচ্ছে করেই দোষীদের গ্রেফতার করছে না বলেও তিনি অভিযোগ তুলেছেন। তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ময়না পঞ্চায়েত সমিতির সহ–সভাপতি সুব্রত মালাকার পাল্টা অভিযোগ করেছেন, নিজেরা ফুর্তি করতে গিয়ে মারামারি করেছে। তখন নিজেদের কাছে থাকা বোমা ছুঁড়ে নিজেদের কর্মীকেই খুন করেছে। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র মধুরিমা মণ্ডল বলেছেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়। বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয় এটি। নিজেরাই নিজেদের সঙ্গে বোমাবাজি করে খুনোখুনি করেছে।’