প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক : ভারতের ‘ফাটাকেষ্ট’ মিঠুন চক্রবর্তী জীবনের শুরুতে যোগ দিয়েছিলেন নকশাল আন্দোলনে। বামপন্থী হিসেবে সে সময় বেশ নামডাক ছড়িয়েছিল তার।
২০১৪ সালে ডিগবাজি দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আগের ভুল শুধরাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে ভক্ত-অনুরাগীদের জানান।
কিন্তু ৭ বছর পর ‘ডিসকো ড্যান্সার’ মিঠুন ফের ডিগবাজি দিলেন। এবার যোগ দিলেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপিতে।গত ৭ মার্চ কলকাতার ব্রিগেড মাঠে বিজেপির সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মশিবিরে যোগ দেন। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচনে লড়াইয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।
গুঞ্জন ওঠে, মিঠুনকেই সামনে রেখে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে বিজেপি। শক্তিশালী তৃণমূলের প্রতিপক্ষ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রতিনিধি হবেন তিনি।আর সেই মিঠুনই পেলেন না মনোনয়ন।
মনোনয়ন না পাওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপিসমর্থকরা। অবাক হয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও! মিঠুনের দাবি, মনোনয়ন চাননি তিনি। তাই দেওয়া হয়নি তাকে।
আরও পড়ুন : নরেন্দ্র মোদীর সফরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সহিংস বিক্ষোভ, ৪ জনের মৃত্যু
মনোনয়ন না পেলেও বিজেপির হয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন মিঠুন। বাঁকুড়ার শালতোড়ায় রোড শোতে ভোটের প্রচারে গেলেন।সেখানে জনতার উদ্দেশে বলেছেন, ‘মনোনয়ন আমি চাইনি। ভোটে লড়লে সুবিধাবাদী হয়ে যাব।’
মিঠুন বলেন, ‘মানুষকে আত্মবিশ্বাস দিতে এসেছি। বলতে এসেছি, নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। মানুষের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। আমার একটাই স্লোগান গরিবকে বলো, নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে। আরও একটা কথা বলব, বাংলার মানুষকে আন্ডার এস্টিমেট না করবেন না, তারা কেউ ভয় পান না, সকলেই বেরিয়ে এসে ভোট দেবেন।’
মিঠুন এদিন উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আজকের দিনটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। আমার ছেলেবেলা কেটেছে জোড়াবাগানের এক অন্ধকার গলিতে। সেদিন স্বপ্ন দেখেছিলাম, জীবনে কিছু একটা করব। কিন্তু এটা ভাবিনি যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদিজির সঙ্গে আমি একই মঞ্চ ভাগ করে নেব। আমি চেয়েছিলাম, গরিবদের জন্য কিছু করব। আজ সেই স্বপ্নের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি আমি। স্বপ্ন শুধু তো দেখার জন্য নয়, সফল হওয়ার জন্য। স্বপ্ন সফল করার উদাহরণ আমি।’
মনোনয়ন না পেয়েও মিঠুনের এই ভাষণ এখন পশ্চিমবঙ্গের নেটিদুনিয়ায় ভাইরাল। এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা, সমালোচনা, পর্যালোচনা।
সূত্র : যুগান্তর
আরও পড়ুন : বিশ্বনেতাদের চোখে পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশ