রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:পাহাড়ে হাজার হাজার অবৈধ অস্ত্রধারী তারা বেপরোয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয় নেই! কারণ বাঙ্গালী ও সাধারণ উপজাতি মরলে কারো কিছু যায় আসেনা। শুধু নিজেদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পার্বত্য বাঙ্গালী নেতাদের দাবার গুটির মত ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিল করে। পরিশেষে বাঙ্গালী নেতাদের টিস্যুর মত ফেলে দেয়। খাগড়াছড়ি দীঘিনালা সোনামিয়া টিলার বাঙ্গালী নেতা আব্দুল মালেকের বাড়িতে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা রাত ৩টায় ব্রাশফায়ার করে তার স্ত্রীকে হত্যা করে। ১০ বছরের সন্তান সহ আব্দুল মালেক নিজে গুলিবিদ্ধ। ভাগ্যক্রমে মালেক গুলিবিদ্ধ হয়েও বেঁচে যান। কিছু পার্বত্য বাঙ্গালী নেতা দাবার গুটির মত ব্যবহৃত হয়! এর কারণে ত্যাগী বাঙ্গালী নেতারা সন্ত্রাসীদের বুলেটে ঝাঁঝরা হয়।
সোনামিয়া টিলার আব্দুল মালেক বাঙ্গালীদের ভূমি রক্ষার জন্য আন্দোলনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। রাষ্ট্র, প্রশাসন, আইন- শৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর আপদ-বিপদে সার্বক্ষণিক পাশে ছিলেন, আব্দুল মালেক৷ অথচ মালেকের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি প্রশাসন! ব্রাশ ফায়ারের গুলি লেগেও মালেক কোনভাবে বেঁচে গেছেন কিন্তু হারিয়েছেন নিজের স্ত্রীকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পেয়েছেন সন্তানের দেহ। বাঙ্গালীর জন্য আন্দোলন করে আব্দুল মালেক পরিশেষে স্ত্রীর লাশ ও সন্তানের ক্ষতবিক্ষত দেহ পেলেন! এ দায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনভাবে এড়াতে পারেনা! পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদী কারা করে তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ পার্বত্যবাসি সবাই জানে। তবুও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না রহস্যময় কারণে! সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে দীর্ঘদিন হতে বাঙ্গালী নেতা সহ সাধারণ পার্বত্যবাসীদের হত্যা করে যাচ্ছে। ১৯৯৭ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরেও পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারী কেন থাকবে? চুক্তির ৯০% ধারা বাস্তবায়িত তবুও কেন পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারী বিচরণ করবে! প্রতিনিয়ত কেন রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতা সহ চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করবে সন্ত্রাসীরা? চুক্তির পরে পার্বত্যঞ্চলের অস্ত্রধারী দমনে কেন অনিহা বোধ তা বরাবরই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন।
১৫ আগস্ট রাত ৩ টায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারের পর আব্দুল মালেকের বাড়ির অবস্থা ও বুলেটের আঘাতের তীব্রতার দাগগুলো সাক্ষী হলেও কোনকালে এ হত্যাকান্ডের বিচার হবে না। কারণ পার্বত্য বাঙ্গালী হত্যার বিচার হয়না। অপরাধী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার ইতিহাসে নেই পাহাড়ে।