করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে টালমাটাল ভারত। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাস্থ্যবিধি, বিধিনিষেধে কড়াকড়ির চেয়ে টিকাদান কর্মসূচিতে বেশি নজর দিচ্ছেন। এমন সময়ে দেশটির তথ্য জানার অধিকার দফতর (আরটিআই) জানিয়েছে- টিকাদান শুরুর পর গত ৪ মাসে দেশটিতে প্রায় ৪৪ লাখ ডোজ করোনার টিকা নষ্ট হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
জানা গেছে, ভারতে চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ১০ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। তবে হতাশার কথা হলো এই চার মাসে ৪৪ লাখেরও বেশি ডোজ করোনার টিকা নষ্ট করেছে দেশটি। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দেশটির কয়েকটি রাজ্যকে দায়ী করছে।
আরটিআই দফতর জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে করোনা টিকার বিপুল পরিমাণ ডোজ নষ্ট হয়েছে। যার একটা বড় অংশ নষ্ট করার জন্য দায়ী দেশের পাঁচটি রাজ্য— তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং তেলঙ্গানা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কিছু রাজ্য যে একটিও টিকা নষ্ট করেনি।
টিকা নষ্ট করার তালিকায় সবার চেয়ে এগিয়ে তামিলনাড়ু। রাজ্যটিতে প্রায় ১২ শতাংশ টিকার ডোজ নষ্ট হয়েছে। এরপরেই রয়েছে হরিয়ানা। এ রাজ্যে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়। আর পাঞ্জাবে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ, মণিপুরে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং তেলঙ্গানায় ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়। টিকা নষ্ট করেনি এমন রাজ্যগুলো হলো কেরালা, হিমাচল প্রদেশ, মিজোরাম, গোয়া, দমন ও দিউ, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপ।