বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং কলকাতার পুরসভা নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি তৈরি তৃণমূল। বিরোধী দলগুলির উদ্দেশ্যে বুধবার এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তৃণমূল সবসময়ই মানুষের পাশে থাকে। মানুষের সঙ্গে উন্নয়নের কাজ করে। তাই রাজ্যে ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে মা মাটি মানুষের সরকার। তাই মানুষের দরবারে যাওয়ার জন্য তৃণমূল সবসময়ই প্রস্তুত থাকে।
কলকাতা পুরসভা ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের জবাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, করোনা প্রকোপ কমলেই কলকাতায় পুরনির্বাচন হবে। বুধবার পুরসভার বাজেট বৈঠক শেষ হলে তাই পুরনির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম উত্তর দেন, ‘আমাদের মাথায় হাত রয়েছে নেত্রীর। তাঁর আশীর্বাদ যখন রয়েছে, তখন আমাদের জয় কে আটকাবে? যখনই নির্বাচন হোক, আমরা তৈরি।’ করোনার জেরে নির্দিষ্ট সময়ে কলকাতা–সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় নির্বাচন করানো যায়নি। ফলে রাজ্যের ১১২টি পুরসভাতেই প্রশাসক বসিয়েছে তৃণমূল সরকার। গত ৮ জুন কলকাতা পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু করোনার জন্য রাজ্য সরকার নির্বাচন না করিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে প্রধান করে প্রশাসকমণ্ডলী বসায় পুরসভায়।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও মামলা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রশাসকমণ্ডলীকে মেনে নিলেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দ্রুত নির্বাচন করিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলেও লাভ হয়নি। সুপ্রিম কোর্টও প্রশাসকমণ্ডলীকে বহাল রেখেছে। তবে নির্বাচন কবে হবে, তা জানতে চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। এদিন বাজেট বৈঠকের পরই সেই প্রশ্ন ওঠে। উল্লেখ্য, ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের পুরমন্ত্রীও। এদিন তিনি বলেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন যেদিন চাইবে, সেদিনই রাজ্যের পুরসভাগুলিতে ভোট করাতে তৈরি রাজ্য সরকার।’
ফিরহাদকে এদিন খুবই আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মাসেই ভোট হয়ে যেত। করোনা অতিমারীর জন্যই নির্বাচন করা যায়নি। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার ছিল না। তবে পুরভোট নিয়ে আমাদের কোনও চিন্তা নেই। এমনকী, রাজ্যের কোনও নির্বাচন নিয়েই আমাদের চিন্তা নেই। ভয়ও নেই। কারণ, আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মার্চ ফরোয়ার্ড। তাই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এগিয়েই যাব।’