ভ্রমণের জন্য একটি আদর্শ জায়গা চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত: জসিম তালুকদার
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে একটি হলো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পতেঙ্গা সৈকত।
ভারতের মিজোরামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হওয়া কর্ণফুলী নদী, রাঙামাটি এবং চট্টগ্রাম এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতের কাছে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে।
সপ্তাহে প্রতিদিন বিকেলবেলা ও ছুটির দিনে পতেঙ্গা সৈকতে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। সূর্যোদয় দেখার জন্য ভোরে ঘুম থেকে উঠেই সৈকতে চলে আসে অনেকেই। তবে সমুদ্র সৈকতের প্রস্থ খুব বেশি বড় নয় এবং এখানে সমুদ্রে সাঁতার কাটা ঝুঁকিপূর্ণ। স্পীড বোটে চড়ে সমুদ্রে ভেসে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সমুদ্রতীর এ ঘুরে বেড়ানোর জন্য সী বাইক ও ঘোড়া পাওয়া যায়।
সমুদ্রে জাহাজের চলাচল কিংবা মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানও দেখা যাবে। সাধারণত বিকেল গড়াতে থাকলে জোয়ার আসতে শুরু করে। জোয়ার শুরুর আগে বাঁধ অনেকটা তলিয়ে যায়। তীরে এসে পড়ে ঢেউ। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের সন্ধ্যার দিখে সূর্যাস্তের দৃশ্য খুব মনোরম।
সমুদ্র সৈকতের সাথেই ঝাউবনের ছায়া তলে গড়ে উঠেছে খাবারের দোকানসহ অনেক দোকান পাট। ঝাউবন ঘেঁষে উত্তর দিক বরাবর হেঁটে গেলে বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলি নদীর মোহনার দেখা পাওয়া খাবারের দোকানে জনপ্রিয় একটি খাবারের মধ্যে হলো মসলা দিয়ে কাঁকড়া ভাজা।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ঘাটি, বিএনএস ঈসা খান এবং চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি পতেঙ্গার সন্নিকটে অবস্থিত। পতেঙ্গাতে নেভাল একাডেমি অবস্থিত। বিমান বন্দরগামী রাস্তার মুখে একটি প্রজাপতি পার্ক রয়েছে। পার্কটিতে ৭০ প্রজাতির প্রায় ১০০০এর বেশি প্রজাপতি রয়েছে।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত (Patenga Sea Beach) বাংলাদেশের সুন্দর ও জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে অন্যতম। চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতে সহজেই যাওয়া যায় বলে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছেই। এছাড়া এই সৈকতকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্যে বেশ কিছু পরিকল্পণা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পতেঙ্গা সৈকতকে আধুনিক ও বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়া দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা নজর কেড়েছে সবাইকে
কর্ণফুলী নদী ও সাগরের মোহনায় অবস্থিত পতেঙ্গায় সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের দৃশ্য খুবই মনোরম বিশেষ করে বিকেল সূর্যাস্ত ও সন্ধ্যার সময়টুকু অবশ্যই ভাল লাগবে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্যে অপেক্ষমান সারি সারি ছোট বড় জাহাজ এইখানের পরিবেশে ভিন্নতা নিয়ে আসে
পতেঙ্গায় রয়েছে স্পীড-বোটে চড়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে সমুদ্র তীরে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে আছে সী বাইক ও ঘোড়া কেনাকাটার জন্যে আছে বার্মিজ মার্কেট খাওয়া দাওয়ার জন্যে আছে হরেক রকক মজাদার স্ট্রিট ফুড।