স্পোর্টস ডেস্ক: কার্যত নাজমুল হোসেন শান্তই এখন বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। দেশে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ করলেন। ঠিক ৪৮ ঘণ্টা পরে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে উড়ে যাবেন নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সাথে ওই দুই সিরিজেও টাইগার ক্যাপ্টেন শান্ত।
সাকিব পুরোদমে মাঠে ফেরার আগ পর্যন্ত হয়তো তাকেই তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করতে হবে। এবং শোনা যাচ্ছে ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে ভাবান হচ্ছে শান্তর নামই।
এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে শান্ত নিজে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে কতটা ভাবেন? নিজেকে মাঠের ভেতর ও বাইরে কিভাবে তৈরির চেষ্টা করছেন? আজ শনিবার টেস্ট শেষে এসব নিয়ে কথা বলেছেন শান্ত।
প্রশ্ন ছিল- মাঠের ভেতরের চেয়ে বাইরের অধিনায়কত্বটাই বেশি। সেটা কি বুঝতে পেরেছেন? শান্তর গোছানো জবাব, ‘আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা হচ্ছে। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। সামনে যদি সুযোগ আসে, তাহলে এ অভিজ্ঞতাগুলো আরও হবে। ওভাবে পরিকল্পনা করা যাবে।’
ওয়ানডেতে ৩ খেলায় নেতৃত্ব দিলেও নিউজিল্যান্ডের সাথে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এই প্রথম ক্যাপ্টেন্সি করলেন শান্ত। সিলেট টেস্টে ১৫০ রানের জয়ের পর ঢাকার মিরপুরে লড়াই করে ৪ উইকেটে হেরে যাওয়া। এ যাত্রাটা কেমন ছিল?
শান্তর জবাব, ‘প্রথমত খুবই গর্বিত। প্রথম ম্যাচটা খুবই ভালো খেলেছি আমরা। দ্বিতীয় ম্যাচটায় জিততে না পারলেও একটা সন্তুষ্টির জায়গা আছে। এ টেস্টে সবার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ খুব ভালো ছিল। ১৩৭ টার্গেট দিয়েছিল, তারপর বোলাররা যেভাবে চেষ্টা করেছে, তাতে আমি বেশ খুশি।’
তাহলে সামগ্রিকভাবে উন্নতির জায়গাটা কোথায়? শান্তর উপলব্ধি, ‘উন্নতির জায়গা আছে, সেটা ব্যাটিংয়ে। আরেকটু বেটার করতে হবে।’
নিজ দলের ব্যাটিং নিয়ে তার মূল্যায়ন, ‘আমি বলব না আমাদের উন্নতি হচ্ছে না। হচ্ছে। এখানে অনেক প্লেয়ার আছে যারা একদমই নতুন। কিন্তু দেখে কাউকেও মনে হয়নি অমন নার্ভাস বা টেনশন ফিল করছে। সবাই দলের জন্য খেলার চেষ্টা করেছে। এই দিকগুলো পজিটিভ ছিল।’
ব্যাটিং আর অধিনায়কত্ব অভিজ্ঞতাটা কেমন? শান্তর ভাবলেশহীন জবাব, ‘আমি যখন ব্যাটিং করি, তখন আমার মনে হয় না আমি ক্যাপ্টেন। সত্যি কথা। আমার একবারের জন্যও মনে হয় না যে, কয়টা ম্যাচ অধিনায়কত্ব করেছি এখন পর্যন্ত। এভাবে করে যেতে পারলে খুবই ভালো। ব্যাটিংয়ের পরে যখন মাঠে ঢুকি, তখন মাঠের বাইরে আমার কী প্ল্যান, তখন সেগুলো করার চেষ্টা করি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে আমার এখন পর্যন্ত মনে হয় না যে আমি অধিনায়ক, আমাকে আলাদা কোনো কিছু করতে হবে।’