প্রত্যয় নিউজডেস্ক: ভালোবাসা বুঝি একেই বলে। মেসিকে কতটা ভালোবাসেন ভক্তরা, তা রোববার ন্যু ক্যাম্পের সামনেই দেখা গেলো। বার্সেলোনার প্রাক-মৌসুম অনুশীলন শুরু হবে। তার আগে করোনা টেস্ট করতে হবে ফুটবলারদের। কিন্তু করোনার পিসিআর টেস্ট করতে অস্বীকৃতি জানান মেসি। যেখানে বার্সা ছাড়ার ইচ্ছার কথাই প্রকাশ করে ফেলেছেন, সেখানে তিনি কেন পিসিআর টেস্ট করতে যাবেন?
তবুও একবুক আশা নিয়ে বার্সা ভক্তরা ন্যু ক্যাম্পের সামনে জড়ো হয়েছিল। যদি মেসির গাড়িটা দেখা যায়! যদি গাড়ির কাঁচ ভেদ করে প্রিয় তারকাকে এক নজর দেখার স্বাদ পূরণ হয়!
কিন্তু না, মেসি আসেননি। মেসি আসেননি বলে প্রচন্ড হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন তার ভক্ত-সমর্থকরা। মেসির ১০ নাম্বার জার্সিটা পরে তারা অপেক্ষা করছিলেন ন্যু ক্যাম্পের প্রবেশ মুখে। কিন্তু সেই জার্সি পরা অবস্থাতেই কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। যেন কোনো অতি আপনজনকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলেছেন তারা।
মেসি বার্সা ছেড়ে চলে যাবেন, তার কাছ থেকে এই ঘোষণা আসার পর থেকেই সারা বিশ্বের অগণিত বার্সা সমর্থক হতাশায় ভেঙে পড়েন। কারও কাছেই খবরটা বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। মেসি আর বার্সা যেখানে মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ- সেখানে কিভাবে দু’জনের বিচ্ছেদ সম্ভব? এটা যেন ভাবতেই পারার কথা নয় কারো জন্য। সে কারণেই মেসির এই ঘোষণা মেনে নিতে পারেনি ভক্তরা। বার্সেলোনায় তো কয়েকদিন আগে বিক্ষোভও হয়েছে।
স্প্যানিশ মিডিয়া দৈনিক মার্কা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, বার্সেলোনার ট্রেনিং গ্রাউন্ডের সামনের রাস্তায় ফুটপাথের দ্বারে হতাশায় মুষড়ে পড়া দুই ক্ষুদে ভক্ত বসে রয়েছেন মাথা নিচু করে। তারা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না, ‘আজ বার্সার পিসিআর টেস্টে মেসি নেই এবং তার আসার সম্ভাবনাও কম।’
ক্ষুদে ভক্ত-সমর্থকরা অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন স্যান্ট হোয়ান ডেসপি কমপ্লেক্সের সামনে। তারা একে একে দেখলো লুইস সুয়ারেজ, ইভান রাকিটিক, সার্জিও বুস্কেটস এবং জর্দি আলবারা আসছেন পিসিআর টেস্ট করাতে, কিন্তু মেসি আসলেন না। দুর থেকে একটি গাড়িকে এগিয়ে আসতে দেখলেই তারা উদগ্রীব হয়ে উঠতেন, এই বুঝি মেসি এলো। কিন্তু না, দেখা গেলো আরেকজন। প্রচন্ড হতাশায় তখন ভেঙে পড়তেন তারা।
মেসির এক ভক্তকে তো দেখা গেলো বার্সার ট্রেনিং গ্রাউন্ডের প্রবেশ পথের গেইট ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। রীতিমত বিলাপ করে মেসির জন্য কান্না করছিলেন তিনি।