দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার আগে হাঁটু দিয়ে নির্যাতন করে পুলিশ। ২০১৬ তে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ করেছিলেন সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় কলিন ক্যাপেরনিক। ফ্লয়েডকে হাঁটু দিয়ে নির্যাতনের পর সেই ঘটনা আবারও আলোচনায় এসেছে। ক্যাপেরনিককে সমর্থন করে এবার চলমান বিক্ষোভে সমর্থন দিচ্ছেন জেমস লেভরন, ডোয়াইন ওয়েডের মতো বড় তারকারা।
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশি নির্যাতন নতুন কিছু নয়। এর আগেও নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ হয়েছে। আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলনে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তাদের একজন সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় কলিন ক্যাপেরনিক। ২০১৬ তে অভিনব কায়দায় তিনি সামাজিক অত্যাচার ও পুলিশের নির্যাতনের প্রতিবাদ করেন।
খেলার আগে জাতীয় সঙ্গীতের সময় না দাঁড়িয়ে হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ করার কারণে পরবর্তিতের কোনো দলই আর তাকে খেলার সুযোগ দেয়নি। তার অনেক বন্ধু ও সতীর্থও ক্যাপেরনিকের পাশে দাঁড়ায়নি। কিন্তু এ দৃশ্যটা দেখে এখন কারো বুঝতে বাকি নেই যে কলিন ক্যাপেরনিক ৪ বছর আগে যে প্রতিবাদের সূচনা করেছিলেন তা কতটা বাস্তবসম্মত আর যৌক্তিক।
জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার আগে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরার পর তিনি বারবার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে আকুতি জানিয়েছেন। তাতে অবশ্য পুলিশের মন গলেনি। শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করা হয়। বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড় জেমস লেবরন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন, যেখানে তার জার্সিতে লেখা নিশ্বাস নিতে পারছি না।
কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় উত্তাল এখন গোটা যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন রাজ্যে চলছে কারফিউ। সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে অনেকে মুখ খুলছেন না। তবে সাহস নিয়ে এগিয়ে এসেছেন বহু খেলোয়াড়। তারা দোষীদের শাস্তির দাবিতো চলা আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
বাস্কেটবল লিগ কর্তৃপক্ষ যারা ২০১৬ তে কলিন ক্যাপেরনিকের প্রতিবাদের সমালোচনা করেছিল তারা এবার এমন নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এবং জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। বিবৃতির পর অবশ্য বেকায়দায় পড়েছে এনএফএল। চারদিক থেকে আসছে সমালোচনা।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিবাদী হয়ে উঠছেন বিভিন্ন অঙ্গনের খেলোয়াড়রা। আগামী দিনে হয়তো আরও অনেকেই দেখা যাবে প্রতিবাদের মিছিলে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন