নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জাতীয় পার্টির সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাজাকার সৈয়দ মুহম্মদ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই পরোয়ানা জারি করে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আমরা মৃত্যু পরোয়ানা জরি করেছি। পরোয়ানা কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার ডিসি অফিসে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। এর আগে এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কায়সারকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রেখে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫২ জনকে গণহত্যা, দুই নারীকে ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে অংশগ্রহণ ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার দায়ে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ হবিগঞ্জ মহকুমার মুসলিম লীগ নেতা সৈয়দ মুহম্মদ কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফাঁসির সাজা বাতিল চেয়ে আপিল করেন কায়সার।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় ৫০০ থেকে ৭০০ ‘স্বাধীনতাবিরোধী’কে নিয়ে নিজেই ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করেন এ মুসলিম লীগ নেতা। মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে তিনি লন্ডনে পালিয়ে যান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দেশে ফেরেন এ রাজাকার কমান্ডার।