‘নদীর ওপর আমাদের নির্ভরতা অনেক। নদীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো কিছু আদালত বিবেচনা করবে না। নদীকে যেকোনোভাবে রক্ষা করতে হবে এবং নদী কমিশনের রিপোর্টকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উচ্ছেদ কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের ওপর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা খারিজ করে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
এই রায়ের ফলে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের তীর দখল করে গড়ে তোলা ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মালিকানাধীন মাইশা গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা নর্থ পাওয়ার ইউটিলিটি কোম্পানি লিমিটেড ও ঢাকা ওয়েস্ট পাওয়ার লিমিটেডের স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা কাটল।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, ‘সিএস (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে) রেকর্ডকে নদীর সীমানা বিবেচনা করতে হবে। আর এই রিটের বাদীর দাবির বিষয়টি বিরোধপূর্ণ। রিটের রুলটি খারিজ করা হলো।’
এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ। জাতীয় নদী কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর বিআইডব্লিউটিএর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুন্নাহার দিপা।
এ রায়ের ফলে বিআইডব্লিউটিএ চাইলেই সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মাইশা গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করতে পারে বলে জানান জাতীয় নদী কমিশনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি বলেন, ‘আমি চাইব বিআইডব্লিউটিএ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উচ্ছেদ কাজ শুরু করবে এবং নদীর জায়গা দখলমুক্ত করবে।’
তবে রিটের পক্ষের আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ বলেছেন, ‘চাইলেই বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদ করতে পারবে না। কারণ আমাদের রিট আবেদনে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা স্থিতাবস্থা দেয়নি হাইকোর্ট। বিরোধপূর্ণ জমির বিষয়ে প্রতিকারের জন্য দেওয়ানি আদালতে যেতে বলেছেন। রায় অনুযায়ী আমরা দেওয়ানি আদালতে যাব। আর এই রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।’