ঝুঁকিপুর্ন এলাকা হিসাবে সাইনর্বোড স্থাপন
চৌধুরী হারুনুর রশীদ ,রাঙামাটি প্রতিনিধি:
ঝুঁকিপুর্ন এলাকায় পাহাড় কেটে যারা বাড়ী ঘর তৈরী করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাঙমাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুসে রঙামাটির ঝুঁকিপুর্ণ এলাকায় যাতে আর একটিও প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। ঝুঁকি দেখলে যারা বাড়ীঘর ছেড়ে যাবে না তাদেরকে প্রশাসন জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক।
সোমবার ১৭ মে রাঙামাটি শহরের রূপনগর ও শিমুলতলী এলাকার জনগনের মাঝে লিফলেট ও সাইন বোর্ড লাগানোর সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা, নেজারত ডেপুটি কলেক্টর বোরহার উদ্দিন
মিঠু, নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আব্দুর রহমান, জেলা স্কাউট কমিশনার নুরুল আবছার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঝুঁকিপুর্ন এলাকায় বসবাসকারীদের সাথে কথা বলার সময় জেলা প্রশাসক বলেন,নিজ নিরাপত্তা নিজের কাছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ কার উপর কখন আছড়ে পড়ে কেউ বলতে পারে না। তিনি বলেন, বাড়ীঘর ভেঙ্গে গেলে আবার তৈরী করা যাবে কিন্তু নিজের জীবনটি চলে গেলে সে জীবন আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তাই প্রতিটি
মুহুর্তে আমাদেরকে নিজেদের জীবনের কথা চিন্তা করে নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষনা করা হয়েছে। দূর্যোগ দেখল্ েআপনারা নিজ দায়িত্বে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাবেন।
প্রশাসন সব সময় আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে। আপনার পাশের বাড়ীর লোকটি নিরাপদে আছে কিনা আপনাকেই চিন্তা করতে হবে। দূর্যোগ দেখলে কেউ যদি
নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে না গিয়ে ঝুঁকিতে বসবাস করে তাহলে প্রশাসনকে খবর দিলে প্রশাসন ফোর্স করে তাদেরকে সরিয়ে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি শুনেছি অনেকেই খাস জায়গায় বসতি গড়ে তুলেছে এবং বেচা বিক্রি হচ্ছে । এই ব্যাপারে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
উল্লেখ্য.২০১৭ সালে ১৩ জুন পাহাড় ধসে ৪ সেনাসদস্য ১২০ জন নিহত হয় এবং সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছিল।