দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ পর্তুগালের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলেও রাজধানী লিসবনে এখনো ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। এতে নতুন করে অনিশ্চয়তায় লিসবনকেন্দ্রিক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীসহ পেশাজীবীরা। অন্যদিকে, পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আসায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে স্পেন।
লকডাউন প্রত্যাহারের পাশাপাশি নিয়মকানুনে শিথিলতা আসায় গেলো কয়েক সপ্তাহে লিসবনসহ পর্তুগালজুড়েই ফিরে এসেছিলো স্বস্তি, সর্বত্রই বেড়েছে মানুষের আনাগোনা। তবে কয়েকদিন ধরেই রাজধানী লিসবনে বাড়ছে করোনায় সংক্রমণের হার। প্রতিদিন সারাদেশে নতুন আক্রান্তের শতকরা ৭০ ভাগের বেশি লিসবনে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পর্তুগিজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে নতুন করে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে লিসবনকেন্দ্রিক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভেবেছিলাম লকডাউন খুললে ভালো ব্যবসা হবে। কিন্তু তা হয়নি। পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে।’
পর্তুগালে বসবাসরত অধিকাংশ বাংলাদেশির বিভিন্ন কার্যক্রম লিসবনকেন্দ্রিক হওয়ায় বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ কমিউনিটি ব্যক্তিদের।
পর্তুগাল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রনি হোসাইন বলেন, ‘নিজস্ব চিন্তাবোধ, বিবেকবোধ থেকে সকলেই চেষ্টা করবেন। বিশেষ কোনো কাজ ব্যতীত কেউ ঘর থেকে বের হবেন না।’
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রতিবেশী স্পেনেও পরপর কদিন নেই মৃত্যুর ঘটনা, যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে নতুন আক্রান্তের সংখ্যাও। ২২ জুন থেকে ফ্রান্স ও পর্তুগালের সাথে সীমান্ত খুলে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে স্পেন সরকার।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন