প্রত্যয় নিউজডেস্ক: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বর্তমান কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই ৩৯ বছর বয়সী স্পিনিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। এর আগের বছরের চুক্তিতে থাকলেও, এবার তাকে বয়সের অজুহাতে বাদ দিয়েছে পিসিবি। কিন্তু বয়স যে নিছকই সংখ্যা, সেটি সবশেষ ইংল্যান্ড সফরেই প্রমাণ করেছেন হাফিজ।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই দলের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন হাফিজ। দুটি হাফসেঞ্চুরিসহ ১৭৬.১৩ স্ট্রাইকরেটে করেন ১৫৫ রান, জেতেন সিরিজসেরার পুরস্কার। এরপর পিসিবির পক্ষ থেকেও দেয়া হয়েছিল মাসিক বেতনের প্রস্তাব। তবে সেটি ফিরিয়ে দিয়েছেন হাফিজ।
মূলত কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেয়ার অপমান মাথায় রেখেই বোর্ডের প্রস্তাবে রাজি হননি এ বর্ষীয়ান অলরাউন্ডার। তার এমন সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন দেশটির উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কামরান আকমল। একইসঙ্গে বয়সের কারণে হাফিজের বিরোধিতা সমালোচকদেরও এক হাত নিয়েছেন আকমল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে কামরান আকমল বলেছেন, ‘এমন ঘটনা আমি জীবনে অনেকই দেখেছি। কারও সম্পর্কে ভালো করে না জেনেই লোকে শেষ দেখে ফেলে। তারা জানেও না, জাতীয় দলে আসতে ওই ক্রিকেটারকে কতটা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। খুব সহজেই লোকে বলে দেয়, অমুক শেষ, তার বদলে অন্যকে নাও।
আকমল আরও যোগ করেন, ‘আমাদের এখানে সাবেক ক্রিকেটারসহ কত লোকে বলেছে হাফিজের বদলে অন্য কাউকে নিতে। এখন সেই হাফিজই পাকিস্তানকে জিততে সহায়তা করেছে। ওই লোকগুলোর এখন মুখ দেখানোর উপায় নেই। আশা করি, তাদের এখন শিক্ষা হয়েছে।’
এসময় জাতীয় দলের বর্তমান ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজমের পক্ষেও ব্যাট ধরেন ৩৮ বছর বয়সী কামরান আকমল। নিজে সবশেষ ২০১৭ খেলেছেন জাতীয় দলে, ক্যারিয়ারে যথাযথ উন্নতি করতে না পারার পেছণে বারবারই জানিয়েছেন বোর্ডের উদাসীনতার কথা।
এবার বাবর আজমের ক্ষেত্রেও যেন এমনটা না হয়, সে কথাই বলেছেন কামরান, ‘বড় ট্র্যাজেডি হলো, লোকে আমাদের এক নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজমের সমালোচনা শুরু করেছে যে সে যথেষ্ট দ্রুতগতিতে রান করছে না বা ম্যাচ জেতাচ্ছে না। অথচ আমাদের উন্নতি করতে হলে, সমালোচনা না করে উৎসাহ দেওয়া উচিত ওকে।’
‘দল হিসেবে এগোতে হলে বাবরের মতো একজনের সমালোচনা না করে তাকে প্রেরণা জোগানো উচিত। এই দায়িত্ব ম্যানেজমেন্টেরও। নিজেদের পছন্দের কয়েকজনের কথা শুধু না ভেবে, সব ক্রিকেটারদের দেখভাল করা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোয় সহায়তা করা।’