বিশেষ সংবাদদাতা:
তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের ভাই হয়েও রেশন পাচ্ছেন না। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা পশ্চিমবাংলায়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়। শুধু তাই নয়, যখন গোটা রাজ্যে রেশন–দুর্নীতি নিয়ে সরব বিরোধী দলগুলি, সেই মুহূর্তে শাসক দলের এক সাংসদের ভাই–ই রেশন পাচ্ছেন না, এমন খবর সরকারকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।
জানা গিয়েছে, অভিনেতা তথা ঘাটালের সাংসদ দেবের পৈতৃক বাড়ি কেশপুরের মহিষদা গ্রামে। দেব বর্তমানে কলকাতায় থাকলেও সেখানে এখন থাকেন তাঁর প্রয়াত মেজো জ্যেঠু বিষ্ণুপদ অধিকারীর ছেলে বিক্রম ও তাঁর পরিবার। পরিবারে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, ২ সন্তান ও স্ত্রী। কর্মসূত্রে তিনি বাস কনডাক্টর। করোনা পরিস্থিতিতে এখন দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় কাজ হারিয়েছেন তিনি। ফলে পরিবার নিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছেন।
সাংসদের ভাই। তবু রেশন কার্ড নেই। সে কথা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের তিনি জানিয়েওছিলেন। কিন্তু তাঁর কথায় কোনও গুরুত্বই নাকি দেননি সেই তৃণমূল নেতারা। তাই নিজের প্রাপ্য রেশনও তিনি পাননি। তাঁদের অবস্থা এমনই হয় যে, ২ দিন হাঁড়িই চড়েনি পরিবারে। আধপেটা খেয়ে ছিল গোটা পরিবার। তবে তাঁর দুরবস্থার খবর পেয়েছিলেন স্থানীয় সিপিএম নেতারা। তাঁরাই উদ্যোগী হয়ে তাঁর বাড়িতে ৬ কেজি চাল, ৯ প্যাকেট আটা এবং একশো টাকা পৌঁছে দেন। তা দিয়ে কোনও রকমে অবস্থা কিছুটা সামাল দেন সাংসদের ভাই।
তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেব। শেষে নিজে উদ্যোগী হয়ে কেশপুরের বাড়িতে কাকিমা, ভাই ও তাঁদের পরিবারের জন্য রেশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। লকডাউন যতদিন চলবে, তাঁদের কোনও অসুবিধে হবে না বলেও জানিয়েছেন অভিনেতা–সাংসদ।