মায়দুল হোসেন মনোয়ার,সিলেট:প্রতিদিন সিলেট বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। থেমে নেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর মিছিলও। এই ভয়ঙ্কর রোগ থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব ও সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাত পর্যন্ত সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে ব্যবসা বাণিজ্য। আইন অমান্য করে রাতে দোকানপাট খোলা থাকলেও পুলিশ প্রশাসনের তেমন তদারকি কিংবা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে দেখা যাচ্ছে না।
মোবাইল কোর্ট না থাকায় প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চলছে ব্যবসা। সরকারি নিয়ম মোতাবেক বিকাল ৪ টা পর্যন্ত শপিংমল ও ৫টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা থাকার কথা থাকলে রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রেখে সদর উপজেলার অনেক বাজারে ব্যবসা করতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে গত কয়েকদিন থেকে সিলেট জেলায় বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। একদিকে দোকানপাট খোলা, তারমধ্যে নেই কারো মধ্যে সচেতনতা। সামাজিক দূরত্ব তো মানা দূরের কথা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ধোপাগুল , বলাউরা,শিবেরবাজার,লামাকাজি, মেজরটিলা, পিঠারগঞ্জ, ইসলাম গঞ্জ বাজারে দেখা যায়,জুতার দোকান, কাপড়ের দোকান, সেলুন, মাছবাজার-সবজি বাজার, নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা রয়েছে। প্রত্যেকটি দোকানের সামনে, ভিতরে ক্রেতাদের ভিড়।
সিলেট জেলায় ৫ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ায় এই জেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সিলেট সদর উপজেলার একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন , কিছু ব্যবসায়ীরা পুলিশ দেখলে দোকান বন্ধ করে দেন। আবার পুলিশ চলে গেলে দোকান খোলা রাখেন। এ যেন এক চোর পুলিশ খেলা। সচেতন মহল বলছেন,এ সময় যদি মোবাইল কোর্ট দিয়ে জরিমানা করা হত তাহলে ভয়ে আর কেউ দোকান খোলা রাখতনা।
এ ব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট দিয়ে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় না। তবে সন্ধ্যায় যখন দোকানপাট খোলা থাকার ব্যাপারে খবর পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিব।