মুহাম্মদ ইমাম-উল-জাননাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।
মঙ্গলবার (২৪ আগষ্ট) সন্ধ্যায় উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রথম আলো সূত্রে জানা যায়, সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল (শিক্ষা)বলেছেন, সভায় হল খোলার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী এখনো করোনার টিকা পাননি, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে। ই-মেইল, এসএমএস ও বিভাগের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রথমে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে আনা হবে। তাঁদের পরীক্ষা কার্যক্রমগুলো দ্রুত শেষ করা হবে। এরপর আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে নিয়ে আসা হবে।
মাকসুদ কামাল বলেন, ‘স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা হলে আসার পর যদি আমরা প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি বুঝতে পারি, তখন সব শিক্ষার্থী হলে আসার আগেই সেগুলো সমাধান করা হবে। আর এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় বিবেচনায় থাকবে। এগুলো হলো শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়া ও করোনা পরিস্থিতি। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে ভিন্ন কথা। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তার আলোকে সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয়ভাবে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা অনুসরণ করা হবে’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যসচিব এ কে এম গোলাম রব্বানী জানান, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা নিতে বলা হয়েছে। এর অগ্রগতি সাপেক্ষে হল খোলার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
উপাচার্যের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, ১৮টি হলের প্রাধ্যক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।