কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: কুষ্টিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা রাফসানের (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ঘোড়ারঘাট ড্রেজিং পয়েন্টে তার মৃতদেহ ভেসে ওঠে। রাফসান শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত রেজাউল হকের ছেলে। তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখায় কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে শহরের ঘোড়ারঘাট সংলগ্ন গড়াই নদীতে পাঁচ বন্ধু গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন রাফসান। প্রত্যেক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, রাফসান তার কুষ্টিয়ার পাঁচ বন্ধু রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হাসিবুর রশিদ তামিম, ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ, কুষ্টিয়া স্যামসাং শোরুমের ম্যানেজার ফয়সাল ও আব্দুর রশিদকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ঘোড়ারঘাট সংলগ্ন গড়াই নদীতে গোসলের উদ্দেশে আসে।
বন্ধুরা একসঙ্গে সবাই নদীতে গোসলের জন্য নামে। এদের মধ্যে তামিম ও রাফসান একটু গভীরে গেলে হঠাৎ করেই তারা দুজনেই নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় অন্য বন্ধুদের চিৎকারে স্থানীয় মাঝিরা তামিমকে টেনে তুললেও রাফসানকে খুঁজে পাইনি। পরবর্তী সময়ে খুলনা থেকে ডুবুরি দল কুষ্টিয়ায় এসে রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়। শুক্রবার সকালে রাফসানের লাশটি নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে কিছুদূরেই ডেজিং পয়েন্টে ভেসে ওঠে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাফসানের মৃতদেহটি পানি থেকে ওপরে তোলা হয়। এ সময় পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
বন্ধু হাসিবুর রশিদ তামিম জানান, রাফসান আর আমি একসঙ্গেই ছিলাম। বাকিরা একটু কম পানিতে ছিল। হঠাৎ করে আমাদের পায়ের তলার বালি সরে যায়। সাঁতার না জানায় আমি ও রাফসান তলিয়ে যাই। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করতে পারলেও রাফসানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে রাফসান তার কর্মস্থল ঈশ্বরদী থেকে কুষ্টিয়া এসেছিলেন। চলতি মাসের ২ তারিখে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ সকালে ভেসে উঠেছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়।