দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলার অংশ হিসেবে সারা দেশের তিন হাজার কারাবন্দির মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা অধিদপ্তর। এরইমধ্যে মুক্তির কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। প্রথম দু’দিনে মুক্তি পাচ্ছে ৫৫৫ জন।
রোববার (৩ মে) আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কারাগারে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর জন্য কিছু বন্দি মুক্তি দেওয়া যায় কিনা এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেটির অনুমতি আমরা পেয়েছি। সেই অনুমতিসাপেক্ষে কারাবন্দি থাকা লঘু অপরাধীদের মুক্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবারও কিছু কয়েদিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, রোববারও দেওয়া হচ্ছে। আশা করি এ সপ্তাহের মধ্যে লঘু অপরাধী প্রায় তিন হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
জানা যায়, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে কারাগারগুলোতে ভিড় কমাতে প্রায় তিন হাজার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার অংশ হিসেবে রোববার দ্বিতীয় ধাপে ৩৮৫ জন মুক্তি পাচ্ছেন। এর আগে শনিবার প্রথম ধাপে ১৭০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, লঘু সাজাপ্রাপ্তরাই মুক্তি পাচ্ছে। মূলত বছরখানেকের জন্য সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরা। ছোটখাটো অপরাধের কারণে যাদের সাজা হয়েছে।
তবে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি, শিশু ধর্ষণ মামলার আসামিসহ অন্য গুরুতর অপরাধের মামলার আসামিরা এই মুক্তির কোটায় নেই বলে জানান তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুর ইসলাম বলেন, ১০ জন বন্দির মুক্তি দেওয়ার তালিকা আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে ছয়জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, আরও চারজনকে মুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী কিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া যায় কিনা, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কারা অধিদপ্তর পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় থেকে সেই চিঠির অনুমতিসাপেক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ সারা দেশের জেল থেকে প্রায় তিন হাজার কয়েদিকে প্রাথমিকভাবে মুক্তি দিচ্ছে কারা অধিদপ্তর।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন