দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় এক গৃহবধূকে গাছের সাথে বেঁধে সারা শরীরে গরম লোহার ছ্যাঁকা ও মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করেছে তার স্বামী ও পরিবার। প্রতিবেশিরা মেয়েটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
বুধবার দিবাগত রাতে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী সাকিল হোসেন (২৪) ও ভাসুর (স্বামীর বড় ভাই) আসলাম হোসেনকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৬ মে বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার লকুকলোনী এলাকার আইয়ুব আলীর মেয়ে খাতিজা বেগমের সাথে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর সদরের শ্রীকৃষ্টপুর গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে শাকিল হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর নজরে আসে স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে মুঠোফোনে অজ্ঞাত এক মেয়ের সাথে স্বামী শাকিল ফোনালাপ করলে স্ত্রী তাতে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় শাকিল। পরে শাকিলসহ তার বড় ভাই আসলাম (৩৫), শশুড় আব্দুস সালাম (৫৮)ও শাশুড়ি শেলিনা বেগম (৫০) মিলে মেয়েটিকে বাড়ির আঙিনার একটি লিচুর গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারপিট শুরু করে।
এক পর্যায়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম লোহা দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এক সময় মাথায় আঘাত করলে মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসে। সদর দরজা বন্ধ থাকায় কেউ সহজে প্রবেশ করতে না পেরে এক পর্যায়ে প্রতিবেশিরা ধাক্কা দিয়ে দরজার লক ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে তারা মেয়েটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। মেয়েটি বর্তমানে হাসপাতালে ধুকছে।
আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিত মেয়েটির বাবা থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা পাওয়া মাত্র স্বামী শাকিল ও ভাসুর আসলামকে আটক করা হয়েছে। পরকীয়ার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান ওসি।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন