আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্র ঘোষণা ও সেখানে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে রাশিয়ার পার্লামেন্টের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দেশটির আইনপ্রণেতারা ইউক্রেন নিয়ে ক্রেমলিনের নিদ্ধান্তের সমর্থন দেন।
দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সভাপতিত্ব করেন কনস্ট্যান্টিন কোসাচিভ। তিনি বলেন, ইউক্রেন সেনাদের কাছে ডনবাসের ‘শান্তি’ রক্ষায় কাজ করার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হচ্ছে। সামরিক সংঘাত এড়াতে এ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতারাও।
এর আগে রাশিয়ান পার্লামেন্টের দুটি কক্ষের একজন আইনপ্রণেতাও পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোকে ‘স্বাধীন’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ক্রেমলিনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দেননি। বরং ভোটের অধিবেশন শুরু করার সময় নিম্নকক্ষের স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোদিন বলেন, পুতিনের সাহসিকতার জন্য, তার দায়িত্বশীল অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চান তারা।
পূর্ব ইউক্রেনের এ দুটি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সেখানে ‘শান্তি’ বজায় রাখার জন্য সৈন্য মোতায়েন করবে রাশিয়া, পুতিনের এমন ঘোষণার পর ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেনা পাঠানোর নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। রাশিয়ার জনগণ তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে বলেও আত্মবিশ্বাসী তিনি।
সূত্র: বিবিসি