নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনায় জীবন দিলেন পুলিশের আরও দুই গর্বিত সদস্য। তারা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল জলিল (৫৫) ও দিনাজপুর জেলা পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল মো. এনামুল হক (৪৩)। গতকাল দিনাজপুরের হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় এনামুলের। তার আগের দিন বগুড়ায় শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পুলিশ ইন্সপেক্টর আব্দুল জলিল। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মোট পুলিশ সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ২১ জনে। ইন্সপেক্টর জলিল ও কনস্টেবল এনামুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, করোনায় মারা যাওয়া পুলিশ ইন্সপেক্টর আব্দুল জলিল নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার দীপ চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। অপরদিকে কনস্টেবল এনামুলের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সোহেল রানা জানান, পুলিশের ব্যবস্থাপনায় এ দুই পুলিশ সদস্যের মরদেহ নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আইজিপির শোক : করোনায় বাংলাদেশ পুলিশের দুই গর্বিত সদস্য ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল জলিল এবং কনস্টেবল মো. এনামুল হকের মৃত্যুতে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আইজিপি এক শোকবাণীতে বলেন, দেশে করোনা প্রতিরোধের প্রথম দিন থেকেই জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শহীদ আজিজ এবং কনস্টেবল এনামুল হকসহ করোনাযুদ্ধে এ যাবৎ আমাদের ২১ জন সহকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারা জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। এ আত্মত্যাগের জন্য তারা পুলিশ সদস্যদের কাছে আদর্শ ও অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবেন।

আইজিপি তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।