ওয়েব ডেস্ক: জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সোমবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন।
এতে তিনি লেখেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রায় ২৪% জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ভোট দেয়নি। এর পরেও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ সেই জনগোষ্ঠীর প্রজন্মের একটি অংশ, যা কিছুটা আকারে বেড়েছে বা কমেছে, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোকাভিভূত হবেন। এরা ছিল, এরা থাকবে, এদের চিনে রাখতে হবে, আমাদের মধ্যেই আছে এদের অনেকে।
সাঈদী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে মানুষ হত্যার অপরাধে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী ছিলেন। পবিত্র কোরানের ওপরে তরজমার জ্ঞান নিয়ে আমার মন্তব্য করা উচিত হবে না। তবে, তিনি বাংলাদেশে দ্বীনে ইসলামকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের পন্থায় পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। যারা সাঈদীর পন্থায় এবং আদর্শে উজ্জীবিত, এরাই সাঈদীর মৃত্যুর শোকে শোকাভিভূত হয়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে হেফাজত করুন, সত্যকে সত্য, মিথ্যা এবং অপরাধকে মিথ্যা এবং অপরাধ হিসেবে চিনে নেওয়ার তৌফিক দিন।
এর আগে সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা সাঈদীর মৃত্যু হয়।
২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় সাঈদীকে। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্মান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগের মধ্যে দুটি অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পরে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এতদিন ওই সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।