ওয়েব ডেস্ক: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কখনো নীতি ও আদর্শের সঙ্গে আপস করেননি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনের রূপরেখা প্রণয়ন করেন। মানুষের মনের ভাষা বুঝতেন বলেই তিনি জাতির পিতা হতে পেরেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিল্পমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকার রাজনীতি করেছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সব সময় গণমানুষের রাজনীতি করছেন। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের দুঃসময়, দুর্যোগে জনগণের পাশে থেকেছে। করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকট ও দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্যও তিনি আহ্বান জানান।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কামাল মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার কাজ এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে মানবকল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে তুলতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
শিল্পসচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দেশ ও জাতির কল্যাণে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশকে শিল্প সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে ‘আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ’। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেশপ্রেম জাগ্রত করে কাজ করে যেতে হবে।