প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: চীন-পাকিস্তান-নেপাল। ত্রিমুখী সীমান্ত সঙ্কটে প্রায় দিশেহারা এখন ভারত। চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে ভারতীয় সেনা নিহত হওয়া এবং গালওয়ানসহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রতিবেশী দেশটির প্রবল উপস্থিতি নতুন করে সেনাবিন্যাসে মনোনিবেশ করতে হচ্ছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগকে। ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের আগে থেকে যে সেনারা কাশ্মীরের নানা জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে মোতায়েন ছিল, তাদের এখন লাদাখ সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে।
৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের আগে থেকে এই সেনারা কাশ্মীরে মোতায়েন ছিলো। তবে রাতারাতি সেনা সরে যাওয়ায় কাশ্মীরের পির পাঞ্জাল ক্ষেত্রের মতো কিছু জায়গা কার্যত সেনাশূন্য হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সেনাদের শূন্যস্থানে পাঠানো হচ্ছে সিআরপি সদস্যদের।
কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনা, আধাসেনা ও পুলিশকে নিয়ে একটি কোর গ্রুপ গঠন করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সে গ্রুপের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাশ্মীর থেকে আইটিবিপির ২০ কোম্পানি সেনা এরই মধ্যে লাদাখে পৌঁছেছে। আরও কিছু সেনা পাঠানো হবে। আইটিবিপি ও সেনারা মিলে চীন ও ভারতের মধ্যে ৩,৪৮৮ কিলোমিটার এলএসির নিরাপত্তার দায়িত্বে আইটিবিপির যে সেনাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে বা হচ্ছে, গত এক বছর ধরে তাদের উচ্চ পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
আইটিবিপি ছাড়া সেনার কিছু বাহিনীকেও লাদাখে পাঠানো হচ্ছে। ১০ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের যে রোমিও বাহিনী পির পাঞ্জাল ও আখনুরে মোতায়েন রয়েছে, তাদের একাংশ লাদাখে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই দুই অঞ্চলে এখন সেনা নেই। সিআরপিকে সেখানে আনা হবে। আপাতত লাদাখেই নজর মোদি সরকারের। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রের খবর, ১০ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কয়েকটি শিখ ইউনিটকেও লাদাখে পাঠানো হচ্ছে।
সূত্র: আনন্দবাজার