স্পোর্টস ডেস্ক: নেতৃত্বের দায়িত্ব নেয়ার পরপরই বাংলাদেশের অসাধারণ জয়। এমন এক অসাধারণ জয়ে তার নিজের অবদানও কম নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৫ রানের ইনিংসটি না খেললে বাংলাদেশ ৩৩৮ রানের স্কোরও গড়তে পারতো না, ৩৩১ রানের লিডও নিতে পারতো না।
তৃতীয় দিন শেষ বিকেলেই বাংলাদেশের নামি কোচ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছিলেন, লিডটা ৩০০ পার হলে জয়ের আশা করা যেতে পারে। শান্তর সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিম এবং মেহেদী হাসান মিরাজের হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ব্যাট হাতে নিজেদের কাজটা ভালোভাবেই শেষ করে রাখতে পেরেছিলো টাইগাররা।
এরপরের কাজ ছিল স্পিনারদের। তাইজুল ইসলাম সে অসমাপ্ত কাজটি করে দিয়ে গেলেন। একটানা লাইন-লেন্থ বজায় রেখে, একই জায়গায় বল ফেলে গেলেন। উইকেটের যে টার্ন ছিল, সেটা কাজে লাগালেন। যার ফলস্বরূপ ১৮১ রানেই অলআউট নিউজিল্যান্ড। ১৫০ রানের অসাধারণ এক জয় এলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের হাতে।
সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে তরুণ ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেয়ার পর তিনি যে এর জন্য যোগ্য, সেটা ভালোভাবেই প্রমাণ করে দিলেন তিনি। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার কৃতিত্বটাই আলাদা। শান্ত সেই কৃতিত্ব দেখালেন নিউজিল্যান্ডের মত পূর্ণশক্তির একটি টেস্ট দলকে হারিয়ে।
অথচ এই ম্যাচে নাকি জয়ের কথা ভাবেনইনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে গিয়ে তিনি অকপটে জানিয়ে দিয়েছেন, জয়ের কথা ভাবেবনি। তিনি চেয়েছেন, তলে তরুণ ক্রিকেটারের আধিক্য বেশি। সবার কাছ থেকে যেন সঠিক পারফরম্যান্সটা বের হয়ে আসে। তাহলে জয় এমনিতেই এসে যাবে। সেটাই এসেছে।
শুরুতে সব ক্রিকেটারকে কৃতিত্ব ভাগ করে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর বললেন, ‘এই কৃতিত্ব সবার। বিশেষ করে তাইজুল, নাঈম, শরিফুল এবং মেহেদী হাসান মিরাজের। সবাই এই ম্যাচ দারুণ উপভোগ করেছ।’
ম্যাচ জয়ের কথা না ভেবে তারা ভেবেছেন শুধু সঠিক পারফরম্যান্স নিয়ে। শান্ত বলেন, ‘আমরা এই ম্যাচে ফল নিয়ে ভাবিনি। তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে এই ম্যাচে ভালো করার সুযোগ ছিল সবার সামনে। সেই সুযোগটাই আমরা কাজে লাগিয়েছি এবং ম্যাচ জিতেছি।’
প্রথম ইনিংসে ৫০ রান কম হয়েছে বলে মনে করেন শান্ত। তবে সে ঘাটতি বোলাররা পুষিয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য তার। শান্ত বলেন, ‘আমরা প্রথম ইনিংসে ৫০ রান কম করেছি। তবে, বোলাররা অসাধারণ কাজ করেছে।’
পরের ম্যাচে ব্যাটারদের আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘আগামী ম্যাচে আমাদের ব্যাটারদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। এটাই আমাদেরকে আরও বেশি সহযোগিতা করবে। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে, আমাকে এই জায়গায় অধিনায়ক হিসেবে দাঁড়ানোর সুযোগ দিয়েছেন। সিরিজের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সবাই সামনের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে।’