দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকলেও থেমে ছিল না শিক্ষা কার্যক্রম। অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ক্লাস-পরীক্ষা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও, চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের পড়াশোনা। দেশেও এখন করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে চলছে অনলাইন ক্লাস। আর শিক্ষাবিদরা একে প্রযুক্তির নতুন মোড় বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বছরের শুরুতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরপরই চীন অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা পদ্ধতিতে চলে যায়। একে একে বিশ্বের প্রতিটি দেশেই যখন ছড়িয়ে পড়ে এ ভাইরাস, তখন অন্য দেশগুলোও শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে নেয় প্রযুক্তির সহায়তা।
জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এ মাধ্যম নিয়ে রাশিয়ায় থাকা বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থী বললেন, কখনোই মুখোমুখি ক্লাসের বিকল্প হতে পারে না অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। যদিও অনেক দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ক্লাসরুমে ফিরে গেছে শিক্ষা কার্যক্রম।
প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা আর শিক্ষা পদ্ধতির ভিন্নতার কারণে এখনও দেশে অনলাইন ক্লাস নিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ ঢাবি ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগ টেলিভিশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. জে. এম. শফিউল আলম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর তুলনায় সাপোর্ট-সরঞ্জাম বেশি আছে। সে তুলনায় আমাদের শিক্ষার্থী বেশি কিন্তু দক্ষ জনবল নেই এছাড়া পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধাও নেই। এই জায়গাটাতে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে।’
মধ্য মার্চ থেকে বন্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যদিও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু রয়েছে ভার্চুয়াল ক্লাস-পরীক্ষা। জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও হাঁটছে এ পথে। ইউরোপ-আমেরিকার রীতিনীতি এ ক্ষেত্রে অনুসরণের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন