বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:বুধবার সকালে রাজারহাটে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী–সমর্থকদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, একটি চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে আক্রমণকারীরা দিলীপ ঘোষের গাড়িও ভাঙচুর করে। বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদের ওপর আক্রমণ চালানোর ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে লেদার কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এর পর বিজেপি সভাপতির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। তার পরই কলকাতা–সহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নেন নবান্ন অভিযানের। এদিন দুপুরে বিজেপি কর্মীরা দল বেঁধে নবান্নরে দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিজেপি কর্মীদের আচমকা এমন আচরণে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশও। বিশাল পুলিশ বাহিনী বিদ্যাসাগর সেতুতেই তাঁদের আটকে দেয়। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা জোর করেই বিদ্যাসাগর সেতু পেরোতে চান। এমনকী, পুলিশের সঙ্গে তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কড়া অবস্থান নেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের কয়েকজনকে সেখানেই আটক করে নিয়ে যায়।
এদিকে, শুধু কলকাতাতেই নয়, বিজেপি সভাপতির আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে কিছু জায়গায় উত্তেজনা তৈরি হয়। কলকাতার মতোই সেইসব জায়গাতেই পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। এদিনের ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আজ সকালে আমি আক্রান্ত হয়েছি। আমাকে বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এ ভাবে তো আমাকে আটকে রাখা যাবে না। আমি তো মর্নিংওয়াকে যাবই। চায়ের দোকানে চা–ও খাব। দেখি কে আমাকে বাধা দেয়! কেউ যদি দলবল নিয়ে ফের আক্রমণ করে, পাল্টা মারও খেতে হবে।’