বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:ব্যারাকপুরে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে পুলিশি অভিযান নিয়ে বাংলার তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্যের পুলিশ আজও সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল। তাঁকে এবং তাঁর বিধায়ক পুত্রকে এনকাউন্টার করার চেষ্টা চলছে।’ পাশাপাশি তৃণমূল সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘যদি অর্জুন সিং বা তাঁর ছেলের কোনও ক্ষতি হয়, তা হলে পরিণাম হবে ভয়াবহ।’
যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘এই রাজ্যের নাম বাংলা। এটা উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাট নয় যে, কথায় কথায় এনকাউন্টার করে মারা হবে। এখানে গণতন্ত্র আছে।’ অবশ্য বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কোনও রকম পরোয়ানা ছাড়াই নাকি ওই দলের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশি তল্লাশিতে বাধা দেয় সাংসদের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানরা। শুধু তাই নয়, খবর পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন সাংসদ পুত্র পবন। তিনি জানিয়েছেন, তল্লাশি সংক্রান্ত কোনও নথি দেখাতে পারেনি পুলিশ। তাই পুলিশের সঙ্গে সেখানেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন পবন সিং।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভাটপাড়া সমবায় ব্যাঙ্কের ২৫ কোটি টাকার তহবিল তছরুপের ঘটনা নিয়ে পুলিশ এদিন অর্জুন সিংয়ের ভাইপো পাপ্পু সিংকে নোটিশ দিতে এসেছিল। কিন্তু স্থানীয় বিজেপির অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাদের সাংসদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে মিথ্যে মামলা করা হচ্ছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা দাবা সিং বলেছেন, ‘পুলিশ পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন আমাদের দাবিয়ে রাখবেন। কিন্তু তা সম্ভব নয়। সে–সব দিন চলে গিয়েছে।’
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলছেন, ‘অনেক খুনের ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের নাম জড়িয়ে রয়েছে। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমেই অর্জুন সিংকে শাস্তি দেওয়া হবে।’ তাঁরা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকদিন আগে কাঁকিনাড়ায় এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবেও নাম জড়িয়েছে এই বিজেপি সাংসদের। তাই তাঁর নামে এফআইআর করা হয়েছে।