প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়ায় জুমার নামাজ আদায়ে উপস্থিত হয়েছেন হাজারো মুসল্লি। করোনা সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব মেনে মসজিদসহ এর আশপাশের এলাকায় অংশ নিয়েছেন তারা। জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে ৮৬ বছর পর পুনরায় মসজিদে ফিরছে আয়া সোফিয়া।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আয়া সোফিয়ায় নামাজ পরিচালনার জন্য ৩ জন ইমাম নিযুক্ত করেছেন। আজান প্রদানের জন্য মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৫ জন।
ইস্তাম্বুল বিজয়ের আগ পর্যন্ত ৯১৬ বছর আয়া সোফিয়া গির্জা ছিল। ১৪৫৩ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর মসজিদ ছিল।
১০ জুলাই তুরস্কের আদালত ১৯৩৪ সালে আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর বানানোর ডিক্রি বাতিল করে মসজিদে ফিরিয়ে আনার রায় দেন। যার মাধ্যমে আয়া সোফিয়াকে আবারো মসজিদে রূপান্তরের সুযোগ তৈরি হয়। জাদুঘরে রূপ দেয়ার আগে ৫০০ বছর স্থাপনাটি মসজিদ ছিল।
১৯৮৫ সালে জাদুঘর থাকাকালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্বঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেস্কো।
দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য তুরস্কের সর্বাধিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আয়া সোফিয়া অন্যতম।
১৬ জুলাই তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক অধিদফতর মসজিদে রূপান্তরিত হওয়ার পরে আয়া সোফিয়া পরিচালনার জন্য সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি সহযোগিতা প্রোটোকল স্বাক্ষর করে। প্রোটোকলের অধীনে সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের কাজ তদারকি করবে। ধর্ম বিষয়ক অধিদফতর ধর্মীয় বিষয়টি তদারকি করবে।
মূল্যবান এ স্থাপনাটি বিনামূল্যে উন্মুক্ত থাকবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন