নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর মহাখালীতে আইএইচটি ইনস্টিটিউটের অধীনস্থ প্যারামেডিকেল খেলার মাঠে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে এতে খুদে খেলোয়াড়, শিশু-কিশোর ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
এ সময় তারা ‘খেলার মাঠ ধ্বংস করে কোন স্থাপনা নয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন চাই’, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ বাধ্যতামূলক’, ‘খেলার মাঠকে ধ্বংস করনা সমাজকে মাদকের দিকে ঠেলে দিওনা আমরা সবাই মাঠ চাই’ দাবিতে স্লোগান দেয়। দাবি জানান, খেলার মাঠ দখল করে যেন বহুতল ভবন তৈরী করা না হয়।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ ৫০ বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী আইএইচটি প্যারামেডিকেল মাঠ অএ এলাকার প্রায় ৬৬ হাজার বাসিন্দার একমাত্র খেলার মাঠ। এই মাঠে সকাল বিকাল দুই সেশনে ছোট-বড় সকলেই ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন সহ সব ধরনের খেলাধুলা ও বয়স্ক লোকেরা হাটা এবং শরীরচর্চা করে থাকে৷ এছাড়া এই খেলার মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেক খেলোয়াড় নিয়মিত অনুশীলন করে৷ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অনুসরণ করে এলাকার একটি নির্দিষ্ট যুবসমাজ, কিশোর উক্ত মাঠে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ক্রিকেট অনুশীলন করে৷
স্থানীয়রা জানান, আইএইচটি খেলার মাঠটিতে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করছে একটি চক্র। সম্প্রতি মেসার্স আজাদ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন এর পক্ষ থেকে বেশ কিছু বহিরাগত লোক এসে মাঠের চতুর্পাশে সুতা ও লাল কাপড় দিয়ে একটি লেয়ার নির্মাণ করে৷ এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মানববন্ধনকারীরা বলেন, মাঠটি দখল হয়ে গেলে স্থানীয় যুবকেরা মাদকের দিকে ঝুঁকবে। আর যেখানে সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা মাঠের কথা বলছেন, সেখানে মাঠ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের হঠকারিতা করছে একটি মহল।
এ সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে গত ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখ মাঠ রক্ষার জন্য মানবিক আবেদন করে মহাখালী দক্ষিণপাড়া এলাকার চার থেকে পাঁচ শত মানুষের গণস্বাক্ষর সহ দশপৃষ্ঠার একটি স্মারকলিপি মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর পাঠানো হয়৷ এছাড়াও উক্ত মাঠের বিষয় মহামান্য হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে৷
মাঠের জায়গা যাতে বেহাত না হতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবগত করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা উওর সিটি কর্পোরেশন ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছির।