1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

পুলিশের ফিল্মি স্টাইলের অভিযানে প্রাণ বাঁচল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও স্বামীর

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০
  • ৩০৭ Time View

বগুড়ার সংবাদদাতাঃ   বগুড়ায় পুলিশের ফিল্মি স্টাইলের অভিযানে প্রাণ বাঁচল পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও স্বামীর।

ঘটনার সূত্রপাত প্রায় বার বছর পূর্বে। বগুড়া জেলার ধুনট থানার নিমগাছি ইউনিয়নের মাঝবাড়ী গ্রামের পলাশ(৩৫) এর সাথে পার্শ্ববর্তী নিমগাছি গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে রহিমা(৩০) এর বিয়ে হয়। অভাবের সংসারে প্রায় অশান্তি লেগে থাকত। এর মাঝেই আট বছর পূর্বে তাদের ঘরে নিরব নামের একটি পুত্র সন্তানের আবির্ভাব ঘটে। কিছু দিন সংসারে শান্তি নেমে আসলেও অভাব তা স্থায়ী হতে দেয় না। অভাব যখন দরজা দিয়ে আসে ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। সংসারে স্বচ্ছলতা আনার জন্য রহিমা বছর তিনেক আগে সৌদি আরবে যায় এবং সেখানে দুই বছর কাজ করে গত বছর দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে রহিমা পলাশকে গোরু ব্যবসার জন্য টাকা দেয়। অলস পলাশ টাকা পয়সা নষ্ট করলে সংসারে আরো অশান্তি সৃষ্টি হয়। রহিমার পেটে আবারো সন্তান আসে।বর্তমানে সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অশান্তি তীব্র হলে রহিমা স্বামীর বাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে পলাশ খুব ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। সে তার স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ নিতে চায়। গতকাল বেলা ১২ টার দিকে তার ছেলে নিরব বাইরে গেলে আচমকা সে তার স্ত্রীকে ঘরে রেখে দরজা জানালা বন্ধ করে। এরপর সে তার স্ত্রীকে খাটে শুইয়ে গলায় ধারালো ছুরি ধরে। স্ত্রী কান্নাকাটি শুরু করলে বাইরের লোকজন জানতে পেরে বাড়ির চারিদিক ঘিরে ফেলে। তারা পলাশকে বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পলাশ কারো কথা না শুনে বার বার বলতে থাকে যে ”তোমরা চলে যাও। আমি রহিমাকে জবাই করে নিজে আত্মহত্যা করব”।

এরপর স্থানীয় লোকজন ধুনট থানা পুলিশকে অবহিত করলে এসআই প্রদীপ কুমারের নেতৃত্বে ধুনট থানা থেকে পুলিশের একটি টিম যায় কিন্তু পলাশ এসআই প্রদীপের কোন কথায় কর্ণপাত না করে রহিমার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে সবাইকে চলে যেতে বলে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল মোঃ গাজিউর রহমানকে জানালে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা করেন এবং বিষয়টি অনতিবিলম্বে পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার কে জানালে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) জনাব মোঃ আব্দুর রশিদকেও দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে বলেন।

অতিঃ পুলিশ সুপার(অপরাধ), অতিঃ পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল এবং ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করতে থাকে। পুলিশ সুপার মহোদয় এর নির্দেশনায় তারা পলাশের সাথে বিভিন্নভাবে কথা বলে তাকে ব্যস্ত রাখে এবং ঘরের অন্যদিক দিয়ে সিঁধ কাটে। পরে রাত আটটার দিকে এক সাথে সিঁধ কাটা অংশ দিয়ে এবং দরজা ভেঙ্গে ফিল্মি স্টাইলে ঘরে ঢুকে পলাশকে ছুরিসহ আটক করা হয় এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এভাবে প্রায় ৩ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে রক্ষা পায় রহিমা ও পলাশের জীবন।

জেলা পুলিশ জানায়, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আজ পলাশকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..